খোলা বাজার২৪,সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৬: নতুন বেতন কাঠামোতে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “শিক্ষকদের জন্য আরও কিছু করার থাকলে, সরকার সেটা অবশ্যই বিবেচনা করবে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোন বন্ধ করবেন না। ক্লাস না নিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করলে তারা তা মেনে নেবে না।
“আপনারা শিক্ষক, আপনারা সম্মান নিয়ে থাকুন। সমস্যা হলে আমরা দেখব। শিক্ষা বন্ধ করবেন না; বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সচল করতে হবে।”
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে রয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
দাবি আদায় না হওয়ায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলোর ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে।
বেতন কাঠামোতে সচিবদের থেকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মর্যাদা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা সচিবদের মর্যাদা চাইলে কিছু বলার নেই।সম্মানটা নিজেদের ওপর নির্ভর করে। সচিবদের মর্যাদা চাইলে বিসিএস দিয়ে সচিব হয়ে গেলেই পারেন।”
‘শিক্ষকদের মর্যাদা অনেক ওপরে’ মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমার শিক্ষক ছিলেন আনিসুজ্জামান স্যার, রফিকুল ইসলাম স্যার।”
এসময় নিজে থেকেই শিক্ষকদের অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার কাছে দাবি করতে হয়নি, আমি শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করে দিয়েছি।
“উনারা যদি চান, বয়স ৫৯ হয়ে যাবে।”
সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন বেতন কাঠামোতে ১২৩ ভাগ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এতো বেতন বাড়ানোর পরেও কেন অসন্তোষ।
“পেটে খাবার থাকলে চিন্তা থাকে না। বেতন বাড়ালাম এখন খাবারের চিন্তা করতে হয় না। এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি।