
খোলা বাজার২৪,সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৬: পাকিস্তান অফ স্পিনার সাঈদ আজমলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তার নিজ শহর ফয়সালাবাদস্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজমলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছে।
তার ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য দেয়া জমি অনতিবিলম্বে খালি করে দিতে আজমলকে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজমল তার একাডেমিতে প্রত্যেক ছাত্রের ভর্তি বাবদ ১৫০০ রুপি করে নিয়েছে এবং প্রায় ৩৫০ জনের বেশি ছাত্র ভর্তি করেছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘ছাত্রদের কাছ থেকে সে প্রায় ৫৩ লাখ রুপি আদায়ের বিস্তারিত কিছুই তিনি জানায়নি। একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা তাকে যে জমি দিয়েছিলাম তা তিনি জোরপূর্বক ব্যবহারের চেষ্টা করছেন এবং এখন খালি করে দিতে অস্বীকার করছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ভিত্তিহীন বললেন আজমল।
মূলত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট জায়গা খালি করে দিতে এবং একাডেমি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বললে এক বছর আগ থেকেই আজমল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কের দারুণ অবনতি ঘটে।
আজমল বলেন, ‘সরকারের হস্তক্ষেপে গত মাসেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে বলে আমি মনে করেছিলাম। ফয়সালাবাদ কমিশনারের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে।’
‘আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানে সম্মত হয়েছিলাম এবং তারা আমার একাডেমি পরিচালনা করতে দেবে। ক্রিকেট থেকে অর্জিত নিজস্ব সম্পদ দিয়ে আমি একাডেমী গড়েছি, যা আমি তুলে আনতে পারি।
‘কিন্ত এখন তরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। কিন্তু আমি ক্রিকেট থেকে অনেক আয় করেছি যে কারণে একাডেমি থেকে আয় করার কথা আমি কখনোই ভাবিনি। আমরা নামমাত্র কিছু অর্থ নিয়ে থাকলে সেটা একাডেমি পরিচালনার জন্যই।