খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬: জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষনকে গতানুগতিক ও ব্যর্থতা আড়ালের চেষ্টা হিসাবে অভিমত করে বাংলাদেশ ন্যাপ‘র সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী তার চিরাচরিত স্বভাবের মতোই এবারও চর্বিত চর্বন করেছেন মাত্র। তিনিনিজেদের ব্যর্থতাতে আড়াল করতে অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে দুপুরে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সভায় উপরোক্ত অভিমত প্রকাশ করা হয়।
ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া‘র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, আহসান হাবিব খাজা, মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, মোঃ আনছার রহমান শিকদার, মির্জা শেলী, আবদুল কাইয়ূম মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটি প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত ও একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। এ দলটির ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিই দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা এ সরকার যতই উন্নয়নের কথা বলুক না কেন, কলঙ্কের যে কালিমা তাদের গায়ে লেগেছে, তা দূর হবে না। প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়নের কথা বলছেন, তা অন্তঃসারশূন্য। সত্যিকার উন্নয়ন হলে জনগণ মূল্যায়ন করবে। তবে উন্নয়নের নামে যেভাবে ব্যয় হচ্ছে এবং যে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বলা হয় যে, মাদ্রাসা বন্ধ আর ছাত্র হত্যার মত ন্যক্কার জনক ঘটনার বিচার করতে হবে। অবিলম্বে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলখ শাস্তি দিতে ব্যর্থ হলে জনগন ক্ষমা করবে না।
সভায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ২১ জানুয়ারী আলোচনা সভা, ২২ জানুয়ারী মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্টান এবং গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারী আলোচনা সভার কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।