খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার বিএনপির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করার জন্য দেশের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মহাজোট সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে বাংলাদেশ রোল মডেল ও বেগম খালেদা জিয়ার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগের সভাপতি মাকসুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আবাহনী লিমিটেডের পরিচালক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাকে বারবার নির্বাচিত করুন। আর যে আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারে তাকে প্রত্যাখান করুন।’
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশ রয়েছে যেসব দেশ যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে সে দল এখনও ক্ষমতায় রয়েছে। আর সেজন্য তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সফলতা লাভ করেছে।
দেশের মানুষের রায় ছাড়া আওয়ামী লীগ একদিনও ক্ষমতায় থাকতে চায়না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের মডেল হিসেবে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের নামও থাকবে।
‘অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করতে হয়’- বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান বলেন, পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক দেশেই পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করা হয়। আর এ বিষয়টি না জানা খুবই দু:খজনক।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র রয়েছে বলেই বিএনপি নেতারা লাগামহীন বক্তব্য রাখতে পারছেন। সরকারের কাজের যেমন সমালোচনা করার অধিকার তাদের রয়েছে। তেমনি সরকারের ভালো কাজেরও তাদের প্রশংসা করা উচিত।
আওয়ামী লীগ দল ভাঙ্গা-গড়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, এ কথা উল্লেখ করে এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে তাদের জোটে ভাংগন ধরেছে। ২০১৬ সালের মধ্যে এ দলটি ভেঙ্গে যাবে।
তিনি বলেন, তবে বিএনপি যদি সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরে আসে তাহলেই ভাংগনের হাত থেকে দলটি রক্ষা পেতে পারে।
কামরুল বলেন, যথাসময়ে নিয়মানুযায়ী নির্বাচন হবে। আর সে নির্বাচনেও দেশের মানুষ উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই নির্বাচিত করবে।
