Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

45খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬: অ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ‘অতিরঞ্জিত প্রচার’ চালিয়ে জনগণকে ‘বোকা বানাতে’ চেয়েছেন বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি।
“উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ গেছে কি না, জানি না। তবে অর্থনীতির লুটপাটের মহাসড়কে গেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই,” বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
সরকারের দুই বছরে পূর্তিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের রাজনৈতিক দিক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন মঈন খান।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে বলেছিলেন, “বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।”
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করতে দল-মত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতাও চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ভাষণে যা বলেছেন, বাস্তবতা তার চেয়ে ভিন্ন দাবি করে কিছু দিন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মঈন খান সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বলেন, “অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক দিয়ে আমি আমার বক্তব্যকে সমর্থন করবে। কোনো গাল-গল্পের ভিত্তিতে নয়।”
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিএনপির শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে নেওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন।
মঈন খান বলেন, “বিএনপি সরকারের শেষ অর্থবছরে আমরা প্রবৃদ্ধি নিয়ে গিয়েছিলাম ৬ দশমিক ৭ শতাংশে। দীর্ঘ ৭ বছর চেষ্টা করেও সরকার (আওয়ামী লীগ) কিন্তু সেই ৬ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারেনি। তো উন্নয়নের মহাসড়ক কোন দিকে যাচ্ছে, সেই সূচকগুলো তা বলে দিচ্ছে। আমাদের বলার প্রয়োজন নেই।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিভিন্ন তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে ধরা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “সম্ভবত গতকালের (প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের) স্ক্রিপ্টরাইটার যারা ছিলেন, তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান বছর পর্যন্ত বর্তমান সরকার ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে যে অর্থনীতির সূচকগুলো বলেছিল, তার প্রত্যেকটি বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কনটেস্ট করেছিল।
“প্রতিবছরে তাদের যে হিসাব, তা সরকারি হিসেবের অনেক নিচে ছিল এবং এমন অভিযোগও এসেছে, সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ তা বাড়িয়ে তৈরি করে। আমরা এটাও দেখেছি, রাতারাতি সেইসব সূচক পরিবর্তন করা হয়েছে।”
“তারপরও সরকার এত বাড়িয়ে, এত সাজিয়ে, এত অংক কষেও কিন্তু আমাদের শাসনামলের ৬ দশমিত ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারেনি। আমার বিশ্বাস আজকের অর্থনীতি কোথায় আছে এই একটি সূচকই যথেষ্ট,” বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, “এসব অতিরঞ্জিত (রহভষধঃবফ) সূচক দিয়ে দেশের আপামর জনসাধারণকে বোকা বানানো যাবে না। অর্থনীতির যারা বিশেষজ্ঞ, তাদের তো নয়ই।