খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬: কৈশোরের ঝড়াঝঞ্জা পেরিয়ে যৌবনের লড়াকু সময়ে পদাপর্ণ। ছোট থাকার সময় শেষ এবার শুরু হল বড়দের দলে ভেড়ার অধ্যায়। মধুর এই রূপান্তর উদযাপনে সোমবার মেতেছিল জাপানের ‘নতুন’ তরুণ-তরুণীরা।
ডিজনিল্যান্ডে ছিল বিশেষ আয়োজন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদযাপন দিনটির নাম “কামিং অব এইজ ডে”। শৈশব পার করে প্রাপ্তবয়স্কে অভিষেক উদ্যাপনে প্রতিবছর জাপানে পালিত হয় এই কামিং অফ এইজ ডে। উৎসবের সঙ্গে প্রথাগত নানান আয়োজন মিলেমিশে একাকার এই বয়সী হয়ে ওঠার স্বীকৃতির দিনটিতে।
কামিং অফ এইজ ডে মানেই থাকতে হবে কিমোনো নামের পোশাক। বিশের কোঠায় পা রাখা তরুণ-তরুণী সবার পরনে থাকে ঐতিহ্যবাহী এই জাপানি পোশাক। সাথে মেয়েদের পায়ে শোভা পায় জোরি চপ্পল।
বয়স উদযাপনের এই আয়োজন শুরুর ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরোনো। সাতশো চৌদ্দ সালে জাপানি দেশটির এক যুবরাজ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দিনটি উপলক্ষ্যে পড়েছিলেন নতুন পোশাক ও পরিবর্তন এনেছিলেন চুলের স্টাইলে। সেই থেকে ব্যতিক্রমী এই উৎসব চলছে একবিংশ শতাব্দিতেও।
১৯৪৮ সালে এই দিনে বরাদ্দ হয় সরকারি ছুটি। তখন অবশ্য ১৫ই জানুয়ারি উদযাপন হতো পালিত হতো কামিং অব এইজ ডে। এরপর দুই হাজার সাল থেকে জানুয়ারির দ্বিতীয় সোমবার পালিত হচ্ছে দিনটি।
তবে জাপানের নিম্ন জন্ম হারের কারণে প্রতিবছর কমছে উৎসবের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। ১৯৭৬ সালে এতে অংশ নেয় প্রায় ৩০ লাখ তরুণ-তরুণী আর দুই হাজার বারো সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০ লাখ ২২ হাজারে।-ইনডিপেনডেন্ট টিভি