
বৃহস্পতিবার রংপুরে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শেষে দরবারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। রংপুরের পাগলাপীরে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় ‘ব্রিগেড গ্রুপ আক্রমণ’ মহড়া হয়। সম্মুখ সমরে শত্রুবাহিনীর হাত থেকে কীভাবে ভূ-খণ্ড উদ্ধার করা হয়, সেই কৌশল দেখান সেনা সদস্যরা।
এই মহড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর বহন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,আমি নিশ্চিত, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে আমাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আপনাদের প্রশিক্ষণের দক্ষতায় বলতে পারি, আপনারা সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের স্মারক রংপুর সেনানিবাসের ‘রক্তগৌরব’ স্মৃতিসৌধ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,সকল শহীদের আত্মত্যাগ সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেশ রক্ষার দায়িত্বে আরও উজ্জ্বীবিত করবে.
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে পাগলাপীরে খলেয়া হেলিপ্যাডে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাকে স্বাগত জানান। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।