
আইজিপি বলেন, ২০১৩ সালে একজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়েছিল। আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দেয়া, মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ বাহিনী জনগনকে সঙ্গে নিয়ে এ অরাজগতা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। তাই ’জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা’ উল্লেখ করে আইজিপি আরও বলেন, এদেশে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই।
পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেঞ্জের ডি আই জি ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুর রহিম, জেলা পরিষদের প্রশাসক এস এম সোলাইমান আলী। জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব নন্দলাল পার্শীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফাররোখ, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহবায়ক গোলাম হক্কানী, পৌর মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা, নব-নির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা চলছে। যে কোন ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ করার জন্য দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে আই এসের অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে আইজিপি আরও বলেন, জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত হতে চাইলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উদ্যেশ্যে বলেন, কোন ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে সহযোগিতা না করলে তাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব না দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন তিনি। সমাবেশের আগে মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন প্রথম পাক সেনাদের আক্রমণের শিকার হয়। পুলিশ বাহিনীর প্রথম আত্মত্যাগের এ ঘটনার স্মরণে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পেছনে ’প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ’ ৭১ ভাস্কর্যের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন এ কে এম শহীদুল হক। জেলা পর্যায়ে পুলিশ বাহিনীর এটিই প্রথম ভাস্কর্য। আইজিপি পত্নী শামসুন্নাহার রহমানও আইজিপি’র সফর সঙ্গী ছিলেন।