Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬: দেশে এমনিতেই চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে। শীতকালীন চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ওই ঘাটতি আরও বেড়েছে। তার ওপর গ্রিডের ওই সমস্যা ঢাকার অধিকাংশ এলাকার আবাসিক গ্রাহকদের দুর্ভোগে ফেলেছে।
জাতীয় গ্যাস গ্রিডের বাখরাবাদ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পর্যন্ত শতাধিক কিলোমিটার দীর্ঘ ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনের ওই অংশটি থেকে গ্যাসের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ময়লা আসছে। এ কারণে গ্রিডের ওই অংশটি প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এর ফলে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাসের সূত্র জানিয়েছে, কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিএনজি স্টেশন ও শিল্পকারখানায়ও নতুন করে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর, লালবাগ, পোস্তগোলা, বাসাবো প্রভৃতি অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাস-সংকট প্রায় প্রতিবছরের ঘটনা হয়ে উঠেছে। কিন্তু নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে শ্যামলী, কলাবাগান, মতিঝিলের কোনো কোনো এলাকায়ও। এসব এলাকায় অনেক বাসায় রান্না পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
এদিকে তিতাস গ্যাস সূত্র জানায়, ঢাকাসহ তাদের বিতরণ অঞ্চলে বিপুল অপচয় ও অবৈধ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহারও সংকটের কারণ। তিতাসের একটি সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, তাদের বিতরণ অঞ্চলে শুধু শিল্পগ্রাহকদের বয়লার উন্নত করা হলে গ্যাস ব্যবহার কমবে এখনকার তুলনায় দৈনিক ২৫ কোটি ঘনফুট।
অবৈধ লাইনের মাধ্যমেও প্রায় পাঁচ কোটি ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে, যার রাজস্ব তিতাস তথা সরকারি কোষাগারে আসে না। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের অবৈধ লাইন দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে এককালীন ও মাসিক ভিত্তিতে টাকা নেওয়া হচ্ছে।