Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ দল ভাঙ্গা-গড়ার রাজনীতি করে না। জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। আজ শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা করি না। আমরা দেশের জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি, তাই আমরা চাই জনগণের ইচ্ছায় দেশ চলবে। আমরা কোনো দল বা জোটকে ভাঙ্গতে চাই না। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের বিকল্প কিছু হতে পারে না।
বিএনপির সাথে কোন ধরনের সমঝোতা হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের সাথে কোন ধরনের সমঝোতা হতে পারে না। যখন আলোচনার জন্য আমরা তাদের ডেকেছিলাম তখন তারা আসেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বেগম জিয়াকে টেলিফোন করে গণভবনে দাওয়াত করেছিলেন, কিন্তু তিনি আসেননি। এখন আলোচনার কথা বলে লাভ হবে না। বিএনএ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামাতের জ্বালাও-পোড়াও চান না বলেই আপনারা ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে এসেছেন।
বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মত থাকতে পারে, তবে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে মানতে হবে। আমরা সবাই নৈরাজ্য-জ্বালাও-পোড়াও এর বিরুদ্ধে। এ সময়ে তিনি বিএনএ জোটকে আরও শক্তিশালী করতে নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়াও গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সরকারের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতালের সহিংস চিত্র তুলে ধরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে নাসিম বলেন, বেগম জিয়া আপনি কি পেলেন, বলেন? আপনার বিএনপি এখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
দল এখন খান খান হয়ে যাচ্ছে। মানুষের বদদোয়া আর প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই পান নাই। আপনি বলেছিলেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করবেন না, কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে নাকে খত দিয়ে ধানের শীষ নিয়ে তাঁর অধীনেই নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেন? তাহলে কেন আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করলেন। নেতাকর্মীদের কষ্ট দিলেন।