খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সেনাবাহিনীর ট্রাক চষে বেড়াচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এছাড়া জাকার্তায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর জঙ্গিদের জন্য সন্দেহজনক ‘সেল’ উদঘাটনে কাজ করছে দেশটির পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণ এবং পুলিশ ও হামলাকারীদের মধ্যে গোলাগুলিতে পাঁচ হামলাকারী ও কানাডার একজন ও ইন্দোনেশিয়ার এক নাগরিক নিহত হয়। পুলিশ এ ঘটনার জন্য আইএসকে দায়ী করেছে। সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধরত জঙ্গি সংগঠন আইএসও আনুষ্ঠানিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ ছাড়াও পুলিশের তথ্যানুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট একে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র অ্যন্টন চার্লিয়ান বলেন, সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ স্টেশন, সরকারি কার্যালয় ও দূতাবাসের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। আর সেনাবাহিনী তাদের সহায়তা করছে। তিনি সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত না বললেও এএফপি’র সাংবাদিকরা জানান, তারা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সেনা সদস্যবাহী প্রায় ছয়টি সামরিক ট্রাকের একটি বহর দেখেছেন। এছাড়া সর্বত্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
তারা বলেন, হামলাস্থলের কাছে ফরাসি দূতাবাসের সামনে প্রায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তা পাহারা দিচ্ছেন এবং সেখানে একটি পুলিশের গাড়িও ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা চার্লিয়ান বলেন, আজ শুক্রবার পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে এবং রক্তপাতের ঘটনায় দায়ীদের খুঁজছে। তবে তিনি অভিযানের বিস্তারিত উল্লেখ করেননি। এদিকে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ইন্দোনেশীয় নাগরিক বাহরাম নাইমকে সন্দেহ করছে পুলিশ। তিনি আইএসের হয়ে সিরিয়ায় লড়ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জাকার্তা পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান বলেছেন, হামলার পেছনে থাকা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের সেল উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। হামলাকারীদের নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকা গোষ্ঠীগুলো ইন্দোনেশিয়ায় আছে। তারা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএসের সমর্থক গোষ্ঠীগুলোকে এক করা নাইমের লক্ষ্য। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার দেশটির ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তারা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।