খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬: এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিকন চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। মোটা চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। জানা গেছে, আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মিনিকেট মানভেদে ৪৩ থেকে ৫২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৪২ থেকে ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে এসব চাল ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৫২ টাকায় বিক্রি হয়ে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বর্ণা, পাইজাম, লতা ও চায়নার মতো মোটা চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পাইজাম ও লতা ৪০ থেকে ৪২ টাকায় এবং স্বর্ণা ৩২ থেকে ৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিকন ধানের মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। পাটের বস্তায় চাল বাজারজাতকরণের ফলে খরচ বেড়ে যাওয়ায়ও দাম বেড়েছে। তবে মোটা ধানের সরবরাহ বাড়ায় চালের দাম বাড়েনি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, গত এক মাসে সরু ধানের দাম মণে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় সরু চালের দাম একটু বেড়েছে। সরু চালের বিশেষ চাহিদাও সব সময় থাকে। যে কারণে দামও একটু বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি মণ চিকন ধান ১০১৫ থেকে ১০২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান জয়পুরহাটের এই ব্যবসায়ী। দুই কারণে চালের দাম বাড়ছে জানিয়ে চালকল মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, প্রথমত মৌসুম শেষ হলে প্রতি বছরই এক টাকা বা কমবেশি দাম বাড়ে। এবার এর সাথে যোগ হয়েছে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাটের বস্তায় চাল বাজারজাতকরণ।
পাটের বস্তার কারণে খরচ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে প্লাস্টিকের একটি ব্যাগ কিনতে ১৪ থেকে ১৫ টাকা লাগতো। এখন একেকটি পাটের বস্তা কিনতে লাগছে ৬০ টাকা। অর্থাৎ পাটের বস্তার কারণে খরচ বেড়েছে ৪৫ টাকা। এখানেই কেজিতে প্রায় ৮০ পয়সা দাম বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনি এবং রসুনের দামও। তবে কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ শুক্রবার প্রতি কেজি চিনি ১ টাকা বেড়ে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। এসব রসুন শুক্রবার প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় পাওয়া গেছে। এদিকে এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ২২ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।