খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬: খালেদা জিয়ার নির্বাচনের আশা সরকার পূরণ করেছে উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “আপনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচন, নির্বাচন করেন, সরকার আপনার প্রত্যাশা পূরণ করছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা নির্বাচন দিল, আপনি অংশ নিলেন। আগামী মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসছে। আশা করি, অংশ নিবেন। আপনার প্রত্যাশানুযায়ী সরকার নির্বাচন দিচ্ছে। আসলে আপনি মুখে বলেন, নির্বাচন প্রত্যাখান করেছেন। ভেতরে বলেন, নির্বাচনে যাব, সেটা শেখ হাসিনার অধীনেই।”
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত।
‘পাকিস্তানি পলিসিতে বিএনপির রাজনীতি’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত বলেন, বলেন, বিশ্বের সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়া স্বীকার করছেন। অথচ খালেদা জিয়া তা দেখেন না। তিনি শুধু দু’একটি ফ্লাইওভার ছাড়া আর কিছুই হয়নি বলেন। তাহলে সমুদ্র বিজয়, ছিট মহল বিনিময়, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু, হাতিরঝিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে বিপ্লব আসলো কোথা থেকে?
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতিতে কুঞ্জিত হয়ে কথা বলছেন। তারপরও তিনি দু’ একটি উন্নয়নের কথা স্বীকার করেছেন এটা ভালো দিক। আশাকরি, এর মাধ্যমে আপনার ভালো কাজের প্রশংসা করার অভ্যাস তৈরি হবে।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, আপনি সবকিছু ( আন্দোলন, জ্বালাও-পোড়াও) করে দেখলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরলেন। তাতে দেখলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন। তাই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আর নষ্ট করবেন না। আইনের শাসন মেনে চলুন।
মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্তিম বন্ধু জেনারেল জ্যাকবের মৃত্যুতে খালেদা জিয়াকে শোক প্রকাশের আহবান জানিয়ে এই প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, জ্যাকবের জন্য সবাই শোক প্রকাশ করল কিন্তু আপনি নিরব রইলেন। মুক্তিযুদ্ধের দল হিসেবে দাবি করলে এখনো সময় আছে শোক প্রকাশ করার। নইলে জামায়াতের মত আপনাকেও পাকিস্তানি বলে গণ্য করা হবে।
জাতি শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়টির সম্মান জনক সমাধান চায় বলে মনে করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, আশাকরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হয়ে স্বস্তি ফিরে আসবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি ফি বৃদ্ধি রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন বৃদ্ধি হওয়াটা বেমানান। সাধারন মানুষের ওপর যাতে জুলুম না হয়, সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করবো।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, উপ কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।