খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬: তোফায়েল আহমেদ আজ শনিবার ঝালকাঠির পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন এ কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ-আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পণির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দিতো। আর এ সুযোগে অপশক্তি ক্ষমতায় আসতো। এতে দেশের অমঙ্গল হতো। বিএনপি দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্যই ষড়যন্ত্রে নেমেছিল, তবে সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বরং শূন্যহাতে খালেদা জিয়া ঘরে ফিরে গেছেন। আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
পাকিস্তান এখনো স্বীকার করেনা, বাংলাদেশে কত মানুষ শহীদ হয়েছে। খালেদা জিয়াও এখন পাকিস্তানের সাথে কণ্ঠ মিলিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন হচ্ছে। যদি এই দেশের কেউ ক্ষতি করে থাকে তবে, সে হলো জিয়াউর রহমান। আমির হোসেন আমু বলেছেন, এদেশের যা কিছু অর্জন, তা শেখ হাসিনার সময়ে অর্জিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সাফল্যকে ম্লান করার জন্য খালেদা জিয়া দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অপপ্রচারের অংশ হিসেবে তিনি বলছেন এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ হয়নি। শহীদদের তালিকা নিয়ে বিতর্ক আছে।
আসলে পাকিস্তান যা বলতে চায়, খালেদা জিয়াও তাই বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলেন, আসলে তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন। তিনি পাকিস্তানতন্ত্রে বিশ্বাসী। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সরদার মো.শাহ-আলমকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পণিরকে সাধারণ সম্পাদক এবং তরুণ কর্মকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পুনঃ নির্বাচিত হয়েছেন।