Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬: শনিবার ভোররাতে কড়েয়ার পাম অ্যাভিনিউতে খুন হয়েছেন একই পরিবারের তিন জন। খুন করা হয় জেসিকা ফনসেকা ও তাঁর দুই ছেলে ডারেন ও জোসুয়াকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মহিলার স্বামী নীল ফনসেকাকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার পরই খুন করা হয় তিন জনকে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) দেবাশিস বড়াল জানান, শুক্রবার রাত পর্যন্ত জেসিকা ছা়ড়া পরিবারের সবাই নাইট ক্লাবেই ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর ভোর সাড়ে ৪টের পর জেসিকা ও তাঁর ২ ছেলেকে খুন করা হয়। পুলিশের ধারণা, প্রথমে ভারী কিছু দিয়ে তিন জনের মাথাতেই আঘাত করা হয়।
পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কাটা হয়। গলার নলি কাটা ছাড়াও মা ও দুই ছেলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এদিন সকালেই মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ​ পরে তল্লাশি চালানোর সময় জেসিকার ঘর থেকে একটি ডাম্বেল ছাড়াও মিলেছে তিনটি ভোজালি। পুলিশের ধারণা, আগে এই ডাম্বেলটি দিয়েই মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
পরে ভোজালি দিয়ে গলার নলি কাটা হয়। জেসিকার স্বামী নীলের শরীরেও আঘাত থাকায় তাঁকে বেশিক্ষণ জেরা করতে পারেনি পুলিশ। যুগ্ম কমিশনা জানান, নীলকে মাত্র ৭ মিনিট জেরা করা সম্ভব হয়েছে। তিন প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হলে, নীল বলেন, স্ত্রীই দুই ছেলেকে খুন করেছে। তা হলে, তাঁর আঘাত কী করে লাগল? এই প্রশ্নে নীল জানান, দুই ছেলেকে খুনের সময় তিনি বাধা দিতে গিয়েছিলেন। সেসময় হাতাহাতি হয়। তখনই চোট লাগে।
তা হলে, স্ত্রী জেসিকার মৃত্যু হল কী ভাবে? নীলের উত্তর, এই নিছক দ্র্ঘুটনা। কিন্তু, কেন জেসিকা তাঁর দুই ছেলেকে খুন করতে যাবেন, সে উত্তর মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, নীলকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার চলেছে। ওটিতে ঢোকানোর আগে, নীল স্বীকার করেন মানসিক ভাবে তিনি অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, তিনি কে, কার সঙ্গে নীল বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, পুলিশের কা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে, সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন শ্যালিকা শাবানা। খুনের সময় পাশের ঘরেই ছিলেন শ্যালিকা শাবানা ও মেয়ে সামান্থা।
তাঁদেরও জেরা চলছে। শাবানা ও সামান্থা পুলিশি জিগ্যাসাবাদে জানান, তাঁরা কিছুই টের পাননি। এতেই পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। এত বড় ঘটনা ঘটল, আপনারা পাশের ঘরে থেকেও টের পেলেন না? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি দুজনের কেউ-ই। ফনসেকা পরিবারের সঙ্গেই থাকেন জাভেদ ও তারেক। নীল জানান, এই দুজন সম্পর্কে তাঁর শ্যালক। খুনের সঙ্গে এই দুজনের কোনওরকম যোগ রয়েছে কি না, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।