খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান দু’দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বকে যেমন দৃঢ়তর করবে, তেমনি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককেও আরো জোরদার করবে । আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে দু’দিনব্যাপী উন্মুক্ত ‘চীনা হরফ ও লেখনীশিল্প’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ-চীন গণমৈত্রী সমিতি, বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে চীনা জনতার মৈত্রী সমিতি, চীনা লেখন বিষয়ক জাতীয় জাদুঘর এবং চীনের হেনান প্রদেশের আনিয়াং পৌরসভা সম্মিলিতভাবে এ প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘কূটনৈতিকতার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের বহু আগে বাংলাদেশ ও চীনের মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরনো এ সম্পর্ক ক্রমেই দৃঢ়তর হয়েছে।
সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি দু’দেশের মানুষকে আরো কাছে নিয়ে আসবে।’ হাসানুল হক ইনু এ সময় চীনা লেখন পদ্ধতিকে অত্যন্ত শৈল্পিক বলে বর্ণনা করে বলেন, মিশরীয়-ব্যবিলনীয় লেখনীর অনেক নিদর্শন বিলুপ্ত হলেও খৃষ্টপূর্ব চার হাজার বছর আগের চৈনিক লেখনীর নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। মন্ত্রী সকলকে চীনা ক্যালিগ্রাফি দেখার আমন্ত্রণ জানান এবং আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ দেন। শিল্পী রফিকুন্নবীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংচিয়াং।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডীন নেছার হোসেন, চীনের বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে চীনা জনতার মৈত্রী সমিতির সংস্কৃতি বিভাগের উপ-মহাপরিচালক জি ওয়েই চীনা লেখন বিষয়ক জাতীয় জাদুঘরের উপ-নির্বাহী সংরক্ষক ফেং কেজিয়ান ,বাংলাদেশ-চীন গণমৈত্রী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বশিরুল্লাহ, মহাসচিব শাহরিয়ার জামান সুমন এবং সংগঠনের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আমীন।