খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ : নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকার একটি বাসায় একই পরিবারের পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ সুপার খন্দকার মহিতউদ্দিন এ কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান মামলার অগ্রগতি কী ধরনের? তিনি বলেন, এখনই বললে তদন্তকাজে বাধা হবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, শিগগিরই মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে এবং আসামিরা গ্রেপ্তার হবে।
পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বলেন, আর্থিক লেনদেন ও পারিবারিক সমস্যা দুটি ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে তারা এগোচ্ছেন।
নিহত তাসলিমা বেগম, তাঁর ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫) ও ভাই মোরশেদুলের (২৫) লাশ গতকাল রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। লামিয়ার (২৫) লাশ ময়মনসিংহের নান্দাইলে দাফন করা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে ২ নম্বর বাবুরাইলের দেওভোগ পাক্কা রোডের ১৩২/১১ নম্বর বাড়ির নিচতলার বাসার তালা ভেঙে তাসলিমা বেগম, তাঁর ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২৫) ও জা লামিয়ার (২৫) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু দুটি ছাড়া অন্যদের গলায় কাপড় বা ওড়না প্যাঁচানো ছিল। প্রত্যেকের কপালের পাশে ছিল আঘাতের চিহ্ন।
ওই ঘটনায় গতকাল নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় নিহত তাসলিমা বেগমের (৪০) ভাগনে মাহফুজ ও শাহাজাদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।