Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

44খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৬ : অ্যালার্জি হলে সাধারণত আমাদের ত্বকে লাল বা এ ধরনের রঙের র‌্যাশ তৈরি হতে পারে। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, চুলকানি হওয়াসহ নানা জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এ লেখায় রয়েছে অ্যালার্জি বিষয়ে কয়েকটি তথ্য। অ্যালার্জির কারণ নির্ণয় করুন অ্যালার্জির চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর কারণ নির্ণয় করা।
অ্যালার্জির সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হয় কুয়াশা, ধুলা, শিশির, ফুলের রেণু ও পারফিউমে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা। আর এ সমস্যাটি নির্ণয় করতে পারলেই অ্যালার্জি নিরাময়ের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়। লক্ষণ নাকে পানি আসা, হাঁচি ও কফ, চোখে ঘন ঘন পানি জমা, নাক ও গলার ভেতর চুলকানি এবং থেমে থেমে কাশি ইত্যাদি অ্যালার্জির স্পষ্ট লক্ষণ। আর যাদের অ্যাজমা রয়েছে তাদের বুক থেকে বাঁশির মতো আওয়াজ আসে। আবার মনে হবে অক্সিজেনের অভাব ঘটছে, তাই শ্বাস টানতে কষ্ট হচ্ছে। প্রথমে অ্যালার্জির যে সাধারণ কারণগুলোর কথা বলা হয়েছে সেদিকে খেয়াল করুন। এগুলোর সংস্পর্শে আসলে যদি সমস্যা হয়, বুঝে নেবেন শীতের অ্যালার্জি।
এ ছাড়া অ্যালার্জি হওয়া মানে কারণটি ভিন্ন। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। অ্যালার্জির অন্যতম কারণ লুকিয়ে থাকে খাবারে। আপনার দেহে কোন ধরনের খাবার চুলকানি বা অস্বস্তির উদ্রেক করে তা খেয়াল করুন। যাদের অ্যাজমা রয়েছে তাদের প্রিজারভেটিভ বা নাইট্রেটপূর্ণ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিরোধ বনাম নিরাময় অ্যালার্জি নিরাময় সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে তা প্রতিরোধ ও সহনীয় করে তোলা যায়। এজন্য বাড়ির কারো যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে যতটা সম্ভব বাড়িঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হবে।
মেঝেতে কার্পেট থাকলে সপ্তাহে এক কি দুই দিন পরিষ্কার করা উচিত। একই বিষয় জানালা-দরজার পর্দার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পালক দিয়ে বানানো কোনো বালিশ ব্যবহার করা যাবে না। বাড়িতে ভেজা ভাব ও আর্দ্রতা এড়িয়ে চলতে হবে। ধূমপান থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। এছাড়া পোষা প্রাণী বাড়ির বাইরে রাখুন। নাসারন্ধ্রের সাধারণ অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টি হিস্টামিন ড্রাগ ব্যবহার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে অ্যান্টি-অ্যালার্জি অথবা স্টেরয়েড রয়েছে এমন নাসাল স্প্রে বেশ কাজের। তবে অ্যাজমায় আক্রান্তদের চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধ ব্যবহার করা জরুরি।