Sun. May 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19
খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৬: নয় বছরেও রাজধানীর কাফরুল এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানির তারিখ নির্ধারণের মধ্যে আটকে আছে বিচার।
ঢাকার জননিরাপত্তা আদালতের পেশকার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নয় বছরেও শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি।
জননিরাপত্তা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ার সাহাদাত বলেন, ‘সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি। সাক্ষীদের আদালতে হাজির না করালে আমাদের কী করার আছে?’
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে তাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। বেশ কয়েকটি খুনের মামলার আসামি তাজ একপর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যান। ২০০৮ সালে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
রাজধানীর কাফরুলে কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম ওরফে মোমিনকে হত্যার দায়ে মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও তাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। বছরের পর বছর কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৫ সালের ১ অক্টোবর কাফরুল থানাধীন নেতারটেক এলাকার হাশেমের বাড়িতে ইসমাইলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে কাফরুল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট তাজসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। জননিরাপত্তা আদালতের সাবেক বিচারক এ টি এম মুসা ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর তাজসহ নয়জনের বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন আবদুল জলিল, লালু মিয়া, খোকন, শহীদুল্লাহ, মোশারফ, ইব্রাহীম, মতিন ও সুমন। তাজ ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি এই হত্যা মামলায় হাবিবুর রহমান তাজকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষী না আসায় আদালতের এজলাস কক্ষে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বসে ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এক মহিলাকে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ওই আদালতের পেশকার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই হত্যা মামলায় কোনো সাক্ষী আসেনি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ১১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।’
নথিতে দেখা গেছে, ঘটনার পরপরই মামলায় গ্রেপ্তার আবদুল জলিল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। স্বীকারোক্তিতে জলিল বলেন, ইসমাইলের ভাই জনির সঙ্গে জামাল নামের একজনের দ্বন্দ্ব ছিল। একবার জনি জামালকে কুপিয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতে জনিকে হত্যা করতে গিয়ে তাঁকে না পেলে ইসমাইলকে খুন করা হয়। নেতারটেকের হাশেমের বাড়িতে ডেকে এনে তাঁকে হত্যা করা হয়। জামিনে গিয়ে জলিল পলাতক।
মোমিন হত্যার রায় দেওয়ার দিন (২০১১ সালের ২০ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক রেজাউল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি তাজ সম্পর্কে বলেন, ‘আসামি তাজকে আমি দেখেছি। পুলিশ সদস্যরা জামাইবাবুর সাজে সাজিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করেছেন। তাঁকে আদর-আপ্যায়ন করেছেন। এঁরা বেহায়া, নির্লজ্জ। পত্রিকায় জেনেছি, এই তাজ দুর্র্ধষ শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী। তাজ সব সময় সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে জামাইবাবু সেজে আসতেন, কাঠগড়ায় না দাঁড়িয়ে বেঞ্চে বসতেন, বাদাম খেতেন। পুলিশের সামনেই তিনি এই কাজগুলো করেছে। তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। তবে আদালত ভাবাবেগে নয়, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা বা খালাসের সিদ্ধান্ত নেবেন।
শীর্ষ সন্ত্রাসীর আদালতে আসা-যাওয়া
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৬
৫প৮৩৯৮বফ০৭১৮প৯৩২ন৯৯২৬ফ৪৫২৬৮ভ০প১৭-যধনরনঁৎ-ৎধযসধহ-ঃধলনয় বছরেও রাজধানীর কাফরুল এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানির তারিখ নির্ধারণের মধ্যে আটকে আছে বিচার।
ঢাকার জননিরাপত্তা আদালতের পেশকার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নয় বছরেও শীর্ষ সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি।
জননিরাপত্তা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ার সাহাদাত বলেন, ‘সন্ত্রাসী তাজের বিরুদ্ধে আদালতে কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি। সাক্ষীদের আদালতে হাজির না করালে আমাদের কী করার আছে?’
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে তাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। বেশ কয়েকটি খুনের মামলার আসামি তাজ একপর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যান। ২০০৮ সালে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
রাজধানীর কাফরুলে কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম ওরফে মোমিনকে হত্যার দায়ে মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও তাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। বছরের পর বছর কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৫ সালের ১ অক্টোবর কাফরুল থানাধীন নেতারটেক এলাকার হাশেমের বাড়িতে ইসমাইলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে কাফরুল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট তাজসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। জননিরাপত্তা আদালতের সাবেক বিচারক এ টি এম মুসা ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর তাজসহ নয়জনের বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন আবদুল জলিল, লালু মিয়া, খোকন, শহীদুল্লাহ, মোশারফ, ইব্রাহীম, মতিন ও সুমন। তাজ ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি এই হত্যা মামলায় হাবিবুর রহমান তাজকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষী না আসায় আদালতের এজলাস কক্ষে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বসে ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এক মহিলাকে কথা বলতে দেখা যায়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ওই আদালতের পেশকার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই হত্যা মামলায় কোনো সাক্ষী আসেনি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ১১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।’
নথিতে দেখা গেছে, ঘটনার পরপরই মামলায় গ্রেপ্তার আবদুল জলিল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। স্বীকারোক্তিতে জলিল বলেন, ইসমাইলের ভাই জনির সঙ্গে জামাল নামের একজনের দ্বন্দ্ব ছিল। একবার জনি জামালকে কুপিয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতে জনিকে হত্যা করতে গিয়ে তাঁকে না পেলে ইসমাইলকে খুন করা হয়। নেতারটেকের হাশেমের বাড়িতে ডেকে এনে তাঁকে হত্যা করা হয়। জামিনে গিয়ে জলিল পলাতক।
মোমিন হত্যার রায় দেওয়ার দিন (২০১১ সালের ২০ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক রেজাউল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি তাজ সম্পর্কে বলেন, ‘আসামি তাজকে আমি দেখেছি। পুলিশ সদস্যরা জামাইবাবুর সাজে সাজিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করেছেন। তাঁকে আদর-আপ্যায়ন করেছেন। এঁরা বেহায়া, নির্লজ্জ। পত্রিকায় জেনেছি, এই তাজ দুর্র্ধষ শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী। তাজ সব সময় সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে জামাইবাবু সেজে আসতেন, কাঠগড়ায় না দাঁড়িয়ে বেঞ্চে বসতেন, বাদাম খেতেন। পুলিশের সামনেই তিনি এই কাজগুলো করেছে। তাঁদের গুলি করে মারা উচিত। তবে আদালত ভাবাবেগে নয়, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সাজা বা খালাসের সিদ্ধান্ত নেবেন।