Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

33খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৬: ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেলিম মালিক। একটা সময় যাঁকে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মনে করা হতো, ক্রিকেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে সেই মালিকই আজ নির্বাসিত ক্রিকেটের আনন্দ-ভুবন থেকে। কলঙ্কটা মোছার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বটে, কিন্তু এ যে অমোচনীয়! ইদানীং ক্রিকেটে আবারও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে ফিক্সিং নিয়ে। শুধু তা-ই নয়, একে একে ফুটবল কিংবা টেনিসের মতো খেলাগুলোরও আড়ালে থাকা দগদগে এক ক্ষত বেরিয়ে আসছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মালিক বলছেন, খেলাধুলার নিষ্কলুষ পৃথিবীটাকে দুর্নীতির শেকড় এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, আর কোনো দিনই তা সমূলে উৎ​পাদন করা সম্ভব না।
মালিকের ব্যাখ্যা, ‘ক্রিকেট থেকে বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতি কমিয়ে আনা যেতে পারে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না কখনোই। কারণ, দ্রুত টাকা কামানোর লক্ষ্যে যারা খেলাটিতে এসেছে, তাঁরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করছে। এই নতুন কৌশলের মাধ্যমে এই লোকগুলোই ক্রিকেটার ও অন্যান্যদের লোভী বানিয়ে দেয়।’
ম্যাচ পাতানো প্রতিরোধে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন মালিক, ‘আইসিসি ও এর সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডের যে দুর্নীতি-দমন ইউনিট আছে, সেখানে সাবেক খ্যাতিমান তারকা ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কেবল একজন ক্রিকেটারই বুঝতে পারবেন ক্রিকেট দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো। এই জায়গায়, সাবেক পুলিশ কর্তা থাকতে পারেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোক থাকতে পারেন, কিন্তু ক্রিকেটীয় অতীত না থাকার কারণে তাদের পক্ষে অনেক কিছু অনুধাবন করা সম্ভব নয়, যেটা একজন সাবেক ক্রিকেটার করতে পারবেন।’ সূত্র: পিটিআই।