খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৬: হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে সেঞ্চুরি করতে দিলেন না আবু হায়দার ও তাসকিন আহমেদ। সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে বাংলাদেশের সাফল্য হিসেব করলে পাওয়া যাচ্ছে এটুকুই।
না, মোটেও মজা করে বলা হচ্ছে না। ১৮তম ওভার শেষেও মাসাকাদজার রান ছিল ৮৪. শেষ দুই ওভারে ৬টি বল খেলে মাত্র ৯ রান করতে পেরেছেন। ৫৮ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হলো মাসাকাদজাকে। প্রথম জিম্বাবুইয়ান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না তাঁর।
সেঞ্চুরি করতে না পারলেও বাংলাদেশের সর্বনাশ করে দিয়েছেন এই ওপেনার। ৩২ ও ৩৬ রান করে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রিচমন্ড মুতুম্বামি ও ম্যালকম ওয়ালার। তাতেই ১৮০ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ১৩ রান তুলতেই দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবালকে হারিয়েও বসেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটা হেরে গেলে গত বছরের শেষ দিকের পুনরাবৃত্তি হবে। সেবারও ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করার পর ড্র করেছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজটি।
অথচ বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ওভারেই ভুসি সিবান্দাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি মুর্তজা। কিন্তু আবু হায়দারের দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই বলে মুতুম্বামির ক্যাচ হাতছাড়া করে সেই সূচনাকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার কি আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করে? শেষ দিকে তাই কোনো রকম ঝড়ঝাপটা তুলতে না পারলেও ঠিকই ১৮০ রান করে ফেলেছে সফরকারীরা। বল হাতে আজ বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’ মুডে। সবাই মিলেই বাজে বল করেছেন, রান দিয়েছেন। ফিল্ডাররাও ক্যাচ ফেলেছেন।
টানা দুই ম্যাচে কঠিন এক পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে। পরশুর পরীক্ষায় ফেল করা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আজ কী করেন সেটাই দেখায় বিষয়। বাংলাদেশ কিন্তু ১৬৬ রানের বেশি তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে আশা কথা হলো, সেই ১৬৬ তাড়া করে জয়টা এসেছে এই সিরিজেই। সেবার পারলে এবার কেন নয়? এমনই প্রেরণা নিয়েই ব্যাটিং করতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু শুরুটা তো হলো একেবারেই বাজে