খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৬: প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ কামাল খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি কমিশন থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এমডির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। পরে ফোন দিলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে ভাউচার টেম্পারিং করে প্রাইম ব্যাংকের এমডি আহমেদ কামাল খান চৌধুরী ব্যাংকের তিন কোটি ৯২ লাখ ১৯ হাজার ১৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন
অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট এ অভিযোগ আসলে দুদক তার প্রাথমিক সোর্সে যাচাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন।
সূত্র আরো জানায়, এ অভিযোগ অনুসন্ধানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ অনুসন্ধানে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রাইম ব্যাংকের এমডির কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুদক। দুদকের চাহিদা মোতাবেক ব্যাংকের এমডি আহমেদ কামাল খান চৌধুরী মার্চ মাসের শেষের দিকে যাবতীয় কাগজপত্র কমিশনে দাখিল করেছেন।ভাউচার টেম্পারিং সংক্রান্ত কাগজপত্র বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। এদিকে, অভিযোগের ব্যাপারে আহমেদ কামাল খান চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।