খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৬: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাযজ্ঞের জন্য দায়ী তালেবানের একটি উপদল সারা দেশের স্কুলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার অঙ্গীকার করেছে। আজ শুক্রবার এক নতুন ভিডিও বার্তায় তারা বলেছে, এসব স্কুল আল্লাহ’র আইন চ্যালেঞ্জকারী লোক তৈরি করছে।
এদিকে এই ভিডিওটি ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানির (টিটিপি) আনুষ্ঠানিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়নি। ভিডিওতে খলিফা ওমর মনসুরের ছবি রয়েছে। তার নেতৃত্বাধীন অংশটি গত বুধবার বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। প্রকাশিত ভিডিওতে ওমর মনসুর বলেন, তার নেতৃত্বাধীন অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। কারণ এখান থেকে আইনজীবী, সামরিক কর্মকর্তা ও পার্লামেন্ট সদস্য তৈরি করছে, যারা সবাই মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছেন। মনসুর বলেন, সশস্ত্র সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পরিবর্তে ‘আমরা এ ধরনের লোক উৎপাদকারী এসব নার্সারিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবো। তিনি আরো বলেন, আমরা সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অব্যাহতভাবে হামলা চালাবো।
কারণ এগুলো নীতি বিসর্জনকারী ব্যক্তি উৎপাদনের ভিত্তি। আমরা এসব স্কুলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু ও ধ্বংস করবো। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারে একটি স্কুলে হামলার পরও মনসুর একই ধরণের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, পেশেয়ারের ওই স্কুলের মত এসব স্কুলও জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার ও মেজর তৈরি করছে, যারা অনেক যোদ্ধাকে হত্যা ও গ্রেপ্তার করছে। উল্লেখ্য, গত বুধবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চরসাদ্দা এলাকায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বন্দুকধারীরা ঢুকে গুলি চালায়। এতে ২১ জন নিহত হয়। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে মনসুরের অংশ। এ ঘটনা ২০১৪ সালে পেশোয়ারে একটি স্কুলে হামলার ঘটনা মনে করিয়ে দেয়।