Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

40খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৬: চিকন চাল ছাড়া অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, ক্ষেত্রবিশেষে কিছুটা কমও। আর শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে মৌসুমের সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে শাক-সবজি। তবে ভোজ্যতেলের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
বাজারের খুচরা ভোজ্যতেল বিক্রেতা রাজন সরকার জানান, তারা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮৮ টাকায়, পামঅয়েল ৬০ টাকায় ও সুপার পামঅয়েল ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন।
তবে পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জানান, খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন দিচ্ছেন ৭৪ টাকায়।
তিনি বলেন, “পাইকারিতে দাম আগেও কম ছিল। বর্তমানে আমরা ৭৪ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি। খুচরা বাজারে কমেছে কি না- বলতে পারছি না।”
শুক্রবার রাষ্টায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৮৫ থেকে ৮৬ টাকা।
এদিন টমেটো, কাঁচা মরিচ, সিম, বাঁধাকপিসহ এ ধরনের সবজি চলতি মৌসুমের সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে কারওয়ান বাজারে।
প্রতি কেজি দানাদার সিম ২৫ টাকায়, টমেটো ২০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ ২৮ টাকায়, প্রতিটি ফুলকপি ১৫ টাকায়, বাঁধাকপি ২০ টাকায় বিক্রি করার কথা জানান কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকনী মাসুদ হাসান।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের ফাইল ছবি রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের ফাইল ছবি রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের ফাইল ছবি রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের ফাইল ছবি বাজারে এদিন নতুন আলু মিলেছে ১৮ থেকে ২২ টাকা কেজিতে, যা চলতি মৌসুমে ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
চালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট ৪৬ টাকায়, নাজিরশাইল মানভেদে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় এবং বি আর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।
হাজি রাইস ট্রেডার্সের মালিক ফিরোজ আলম জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় নাজিরশাইল বস্তায় এক থেকে দেড়শ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
মাছ-মাংস স্থিতিশীল
গত বছরের শেষ দিকে মাংসের বাজারে কিছুটা চড়া ভাব দেখা দিলেও নতুন বছরে তা কিছুটা কেটেছে।
শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকায়, খাসির মাংস ৬৫০ টাকায়, ফার্মের মুরগি ১৩৫ টাকায় এবং পাকিস্তানি মাঝারি সাইজের মুরগির জোড়া ৫৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা জানান সুমন নামে এক দোকানী।
গত ডিসেম্বরে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০ টাকায় ও ফার্মের মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়।
শুক্রবার পাতিহাঁসের জোড়া ৫০০ টাকায়, চীনাহাঁসের জোড়া ১১০০ টাকায় ও রাজহাঁস প্রতিটি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শীতে হাঁসের মাংসের চাহিদা বাড়ে বলে জানান অজিউর নামে এক বিক্রেতা।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় শোল ৫০০ টাকা ও মাগুর ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোট শিং পাওয়া গেছে ৪০০ টাকায়, ৮০০ গ্রামের ইলিশের জোড়া পড়েছে ৯০০ টাকা এবং প্রতি কেজি রূপচাঁদা ৯০০ টাকা।
বড় কাতল ৪০০ টাকা, রুই ৩৫০ টাকা ও বোয়াল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি টাকা করার কথা জানান ব্যবসায়ী গৌতম দাস।