
শনিবার দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৪ জানুয়ারি জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছাত্র-জনতার সেই গণ-প্রতিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে রুপ নেয় গণ-অভ্যূত্থানে।
খালেদা জিয়া বলেন,আর সেই গণ-অভ্যুত্থানে পতন নিশ্চিত হয়েছিলো স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিলো একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ।গণঅভ্যূত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত ও চিন্তার চর্চা ও মানুষের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়া,বলেন খালেদা।আমাদের জাতীয় জীবনে উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
খালেদা জিয়া বলেন, গণতন্ত্র-স্বাধীকার অর্জনে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের কাছে আজও অনুপ্রেরণা। কারণ- এখন আবারো বর্তমান সরকার একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা গুম করেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন।
উনসত্তরের গণ-আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে এ মহান দিবসে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান খালেদা জিয়া।