খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ : টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা হতাশায় মোড়ানো ছিল তাঁর জন্য। ৫ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই তিন উইকেট নিতে পারতেন। সতীর্থটা দুটি উইকেট নিতে দিলেন না ক্যাচ ফেলে। পরের দুই ম্যাচে তো উইকেটই পেলেন না। রানও দিলেন বেশ। তিন ম্যাচে ১০০ রান দিয়ে ১ উইকেট-এটাই ছিল মোহাম্মদ আমিরের ফেরার হিসাব!
সেই আমির আজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বোলিং করলেন দুর্র্ধষ। মাত্র ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ইকোনমি রেট মাত্র ৩.৪২। কিন্তু নিজের নবম ওভারটি শেষ করতে পারেননি। চোটের কারণে ৮.১ ওভার বোলিং করেই হতাশা নিয়ে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। আশা আর হতাশার এমন দোলাচল যেন আমিরের নিত্যসঙ্গী এখন!
গত কয়েক বছরে নাটকীয় সব ঘটনার ভেতর দিয়ে যাওয়া আমির ৫ বছর সাত মাস পর নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেটটিও পেয়েছেন বেশ নাটকীয়তার ভেতর দিয়ে। তাঁর তৃতীয় আর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পাকিস্তান রিভিউ চাওয়ার পর স্নিকো মিটারের সাহায্য নিয়ে তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সংকেত দেন।
২০১০ সালের ১৫ জুনের পর আবারও ওয়ানডেতে উইকেট শিকারের আনন্দে মেতে ওঠেন বাঁ হাতি পেসার। পরের দুটি উইকেট পেতে অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে কোরি অ্যান্ডারসন আর সপ্তম ওভারের প্রথম বলে লুক রনকিকে ফেরান। চার বলের মধ্যে দুই উইকেট! তিন ব্যাটসম্যানই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারকে। এটিও আমিরের পেস সামর্থ্যের প্রমাণ হয়ে থাকল।
শেষের দিকে করাবেন বলে আমিরের দুটি ওভার জমিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক আজহার। কিন্তু ইনিংসের ৪৭তম ওভারে বোলিং করতে এসে এক বল করেই পেশির চোট নিয়ে ফিরে যেতে হয় আমিরকে। এর আগে স্যান্টনারের জোরালো স্ট্রেট ড্রাইভ আমিরের পায়ের পাতায় গিয়ে আঘাত করে। হয়তো চোটের উৎস সেটাই। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়েছেন।
সেই আনন্দ শেষ হয়ে গেল চোটের হতাশায়! ছবি: এএফপিআমিরের আনন্দের শুরুটা এভাবেই হতাশায় শেষ হয়েছে। তবে সেটি আরও হতাশায় মুড়ে গেছে পাকিস্তান ৭০ রানে হেরে যাওয়ায়। তবে এর মধ্যে কিছুটা সুসংবাদ ব্যাট হাতে নেমেছিলেন আমির। অর্থাৎ চোট অতটা গুরুতর নয়। যদিও ব্যাট হাতে আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
বল আর ব্যাটিংয়ের এই উল্টো ছবিও যেন আমিরের জীবনের প্রতীক