Fri. May 9th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ : অষ্টম বেতন কাঠামোয় ‘বৈষম্য’ দূর করার দাবিতে তিনদিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন বেগম মঙ্গলবার জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতিতে থাকবেন।
গত ২২ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভায় সব সরকারি কলেজে ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
একই দাবিতে এর আগে গত ৪ ও ৫ জানুয়ারি ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করেন কলেজ শিক্ষকরা। অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৫ ফেব্র“য়ারির মধ্যে দাবি না মানলে ৬ থেকে ১১ ফেব্র“য়ারি ক্লাস বর্জন করবেন সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।
এরপরও দাবি পূরণ না হলে ১৩ থেকে ১৮ ফেব্র“য়ারি ক্লাসের সঙ্গে পরীক্ষাও বর্জনের কর্মসূচি রয়েছে।
এরপরও দাবি পূরণ না হলে ২৩ ফেব্র“য়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সমিতি।
অষ্টম বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল ছাড়াও শিক্ষকদের পদ আপগ্রেডেশন এবং ‘বৈষম্য’ নিরসনে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষকরা।
এছাড়া অধ্যাপকদের পদমর্যাদা ও বেতনক্রম অবনমনের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম থেকে সরাসরি তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকরা পদোন্নতি পেয়ে চতুর্থ গ্রেডে অধ্যাপক হতেন। চতুর্থ গ্রেডের অধ্যাপকদের অর্ধেক সিলেকশন গ্রেড পেয়ে তৃতীয় গ্রেড পেতেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বাতিলের ফলে অধ্যাপকদের চতুর্থ গ্রেড থেকেই অবসরে যেতে হবে। ফলে মর্যাদা ছাড়াও বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো ১ জুলাই থেকেই পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকদের অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে তৃতীয় গ্রেডে বেতন দিতে সরকারি আদেশ জারির দাবি জানিয়ে আসছে বিসিএস শিক্ষা সমিতি।
এছাড়া নায়েম মহাপরিচালক, এনসিটিবি চেয়ারম্যান, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা সদরের অনার্স ও মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষের পদকেও গ্রেড-১ এ উন্নীত এবং মাউশি, নায়েম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক; অনার্স/মাস্টার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ, শিক্ষা বোর্ডের সচিব এবং এনসিটিবির সদস্যদের পদকে দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীতের দাবি জানিয়েছে সমিতি।
এছাড়া অনার্স ও মাস্টার্স রয়েছে এমন বিভাগে দ্বিতীয় গ্রেডের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি, ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি এবং বিকল্প ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখার দাবি রয়েছে বিসিএস শিক্ষা সমিতির।
বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করার দাবিতে এর আগে লাগাতার কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে নয়দিন পর গত ২০ জানুয়ারি শিক্ষকরা কর্মবিরতি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরলে সচল হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।