খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ : সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই পুলিশ বাহিনীকে দেশের মানুষের ‘সেবক’ হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পুলিশকে জনগণের সেবক হতে হবে। প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের পাশে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়াতে হবে, যেন মানুষ ভরসা পায়।”
পুলিশের হাতে সম্প্রতি দুই সরকারি কর্মকর্তা নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মধ্যেই সরকারপ্রধানের এই তাগিদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার তুলনায় জনবল যথেষ্ট নয় বলেই পুলিশে ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
“অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব করতে গিয়ে অনেক সময় তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়।”
গতবছরের শুরুতে বিএনপি-জামাতের অবরোধের মধ্যে দেশজুড়ে নাশকতা দমনে ‘সাহসী ভূমিকা’ রাখায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্য্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বাহিনীর তৎপরতার কারণেই “দেশে সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নাই।”
দেশের উন্নয়নের জন্য আইন-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে পুলিশ বাহিনীকে আরও উদ্যোগী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশ।ৃ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।”
২০১৫ সালে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে ‘প্রশংসনীয় অবদানের’ স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন।
এবার ১৯ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম), ২৩ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা ও ৪০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পদক দেওয়া হয়। এছাড়া ছয়জনকে দেওয়া হয় মরণোত্তর পদক।
প্রধানমন্ত্রী পরে পুলিশ সপ্তাহের প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। প্যারেডে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
বাংলাদেশে এই প্রথম একজন নারী পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে নেতৃত্ব দিলেন। সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য এই পারেডে অংশ নেন।