খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ : রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ২১ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে দেশনেত্রী যে বক্তব্য প্রদান করেন তার একটি ক্ষুদ্র অংশের বিকৃত ব্যাখা করে গতকাল সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেছেন। তার আগের দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মামলাটি দায়ের করার অনুমতি প্রদান করেন। রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরেই তার (বেগম খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কোথাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার লেশমাত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হতে পারে এমন কোনও অংশ নেই। এই মামলা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবার জন্য হীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার নৈতিকভাবে বৈধ নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখবার জন্য এই ধরণের মিথ্যা মামলার আশ্রয় গ্রহণ করছে। রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গিয়ে শাসকগোষ্ঠী মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে নির্মূল করবার ভয়াবহ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ দেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করে প্রমাণ করেছে যে, আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে ভয় পায় এবং তাঁকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করে রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে চায়।