খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬: আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন। আজ ১০ .৫০ মিনিটে দুদকে হাজির হন।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী।
গত ৪ জানুয়ারি মুসাকে তলব নোটিশ পাঠিয়ে ১৩ জানুয়ারি বুধবার মুসার সম্পদের হিসাব চায় দুদক। কিন্তু একদিন আগে মুসা অসুস্থতার কথা বলে দুই মাস সময় চেয়েছেন। কিন্তু তাকে ২৮তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছিল দুদক।
দুদক সূত্র জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদক প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের হীরকখচিত বহুমূল্য জুতা থেকে শুরু করে আপাদমস্তক মূল্যবান অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে বিএমডব্লিউ গাড়ি বহর নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন। এসময় তার সঙ্গে ছিল অর্ধ শতাধিক সুন্দরী নারী-পুরুষ দেহরক্ষী। এ ঘটনায় তখন দুদকে কার্যালয় সহ পুরো দেশ থমকে যায়। মুসা বিন শমসের উঠে আসেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, গত ৭ জুন ২০১৫ মুসা বিন শমসের দুদকে তার সম্পদের হিসেব দেয়। আর ঐ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধানের জন্য আবার মূলত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর সম্পদের উৎস সমর্থনে রেকর্ডপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
মুসার সম্পদ বিবরণীতে বলেন, সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) জব্দ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া সুইস ব্যাংকে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকার) অলঙ্কার জমা রয়েছে। পাশাপাশি দেশের অভিজাত এলাকা খ্যাত গুলশান ও বনানীতে দুটি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, মুসা বিন শমসের এই সম্পদ বিবরণী বিষয়ে ‘মুসা যত গর্জে, তত না’ মন্তব্য করেছিলেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দুদকের কাছে তিনি বিশাল জমি-জমার হিসাব দিয়েছেন। তবে কোনো জায়গাই তার দখলে নেই। আবার বিদেশে আটক ১২ বিলিয়ন ডলারের যে তথ্য দিয়েছেন, সেখান থেকে সে তথ্যও পাচ্ছি না। আবার সেও কিছু দিতে পারছেন না। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছি, মুসার সম্পদ বলতে তেমন কিছুই নেই।