Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

10খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা ৩০ লাখ হোক বা ৬০ লাখ হোক তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। তাদের তালিকা থাকবে না কেন। কি কারণে থাকবে না? এই শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এ সব কথা বলেন। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুর বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ ও ঘৃণা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা; সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর মিথ্যা কথা বলে দেশপ্রেম। এই নীতিতে বিশ্বাস করি না। সত্য যত নির্মম হোক সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বলল এটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। তারপরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা পারেন করেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক চুপ থেকেছি। কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। নেত্রী যখন একটা কথা বললেন, আমরা তখন সবাই মুখে তালা মারলাম। তার সমর্থনে কেউ কোনো কথা বললাম না। অপরদিকে ভালো হোক মন্দ হোক শিয়ালের মতো সব এক সুরে বলে। আমাদের দুর্ভাগ্য ওই জায়গায় আমাদের নেত্রী যখন কথা বলেন, তার কথা সমর্থন করলে মামলা হবে এই ভয়ে যখন আমার সমর্থন করি না সেখানে আমাদের বিবেচনা করতে হবে বিএনপির রাজনীতি করার যোগ্যতা আমাদের আছে কিনা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নিজের ভাল থাকার জন্য মামলার ভয়ে কৌশল অবলম্বন না করে বুক টান করে রাজপথে হাঁটুন। নেত্রীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে না। আমরা যত চুপ করে থাকি না কেন মামলা আমাদের ছাড়বে না। সহকর্মীদের গুমের মিছিল অনেক বড় হয়ে গেছে। শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নিখোঁজ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। রক্ত ও জীবন দিয়ে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক।