খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬: শেখ হাসিনার রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘রায়, সংবিধান, নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘অল কমিউনিটি ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সংসদ ও সংসদের বাইরে প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা দাবি করছে- প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন হাফিজ।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজার গেটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালতের সমনের কপি ঝুলিয়ে দেন আদালতের কর্মকর্তারা। বাসার কেউ সমন গ্রহণ না করায় গেটে এই সমনের কপি ঝুলিয়ে দেন তারা।
এ প্রসঙ্গে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া কি ফেরারি? তার কি কোনো পরিচয় নেই? তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধা। তার বাড়ির গেইটে সমন না টাঙিয়ে কি সম্মানজনক ব্যবস্থা করা যেত না?’
তিনি বলেন, ‘জনসম্মুখে হেয় করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে বিএনপি চেয়াপারসনের দেয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লেশমাত্র নেই। ষড়যন্ত্র করে সরকার হটানোর চেষ্টা করলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা যেতো। তিনি নিজেই একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণার্থে তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া কোনো সংখ্যার কথা বলেননি। তাদের সম্মানহানি হয়, এমন কিছু তিনি বলেননি। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হলো, যা হাস্যকর। এ মামলায় সারা বিশ্ব চমকিত হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি তাদের হুংকার বেশি শোনা যাচ্ছে। এটা খারাপ আলামত। তাই এ সরকারকে বলতে চাই, এই দিনই শেষ নয়, আরো দিন আছে।’
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সংবিধান নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করে আপনারা পদত্যাগ করুন। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। আপনারাও বাঁচুন জনগণকেও বাঁচান।