খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। মূর্খ, অর্বাচীন, রাজাকার এবং তাদের সন্তানেরা ছাড়া কেউ এমন বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হানিফ এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। এ ধরনের অপচেষ্টা বন্ধ করার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের অপচেষ্টা করা হয়, তাহলে যারা এ ধরনের অপকর্ম করবে তাদের দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপকর্মের জন্য আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। দেশবাসী কখনো এটাকে বরদাশত করবে না।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন। কিন্তু এ মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা বলেছেন—জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—আওয়ামী লীগ হয়রানির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এটাও বিশ্বাস করে, দেশের সব নাগরিকের জন্য আইন সমান। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আইন অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই স্বাভাবিক। আর যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতাকে আঘাত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে চায়; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে এটা কোনোভাবেই হয়রানি বলা যাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাস করতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশে বাস করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করার কোনো সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা-বিষয়ক সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, মমতাজ উদ্দিন মেহেদি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।