খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ : দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান উইয়ান
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অলরাউন্ডারের উদ্যাপনের ধরনে শহীদ আফ্রিদির মিল আপনি খুঁজে পেতে পারেন। তবে সাইফ নিজে বললেন, আফ্রিদিকে অনুকরণ করে তিনি উদ্যাপন করেন না। আজ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সাইফ শোনালেন তাঁর উদ্যাপন-কাহিনি, ‘উদ্যাপনে কাউকে অনুকরণ করি না। তবে শহীদ আফ্রিদির খেলা ভালো লাগে। উদ্যাপনটা আমি আমার মতো করেই করি। অনেকেই বলে, উদ্যাপন নাকি আফ্রিদির মতো করে করি। আসলে আমি আমার মতো করেই করি।’
সেই দিন মুল্ডারকে আউট করার পর অমন উদ্যাপনের পেছনে একটি ঘটনা ছিল। প্রোটিয়া পেস অলরাউন্ডারের সঙ্গে বেশ কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এই দ্বৈরথে অবশ্য বিজয়ী সাইফই। ব্যাটিংয়ে মুল্ডারের ৯ বলে নিয়েছিলেন ৭ রান। মুল্ডার তো বটেই, সাইফকে আউট করতে পারেননি কোনো প্রোটিয়া বোলার।
বল হাতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই পেসারের ৯ বলে ৬ রান নিতে পেরেছিলেন মুল্ডার, এর পরই পরিষ্কার বোল্ড! সেদিন আসলে সাইফকে বাউন্ডারি মেরে তাতিয়ে দিয়েছিলেন মুল্ডার, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই তাদের সঙ্গে খেলছি। যখন ওর বলে স্লগ ওভারে ব্যাটিং করছিলাম তখন কয়েকটা বল ডট গিয়েছিল। খেলার সময় ইশারা-ইঙ্গিতে অনেক কিছুই হয়। আমার ইচ্ছে ছিল ওকে আউট করব। যখন ওকে বোলিং করলাম, ওভারের প্রথম বলে চার খেয়েছিলাম। উইকেট নেওয়ায় জোরটা আরও বেড়ে গিয়েছিল!’
উদ্যাপনটা আফ্রিদির মতো হলেও সাইফের আদর্শ নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন ও ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস। ফেনীর ছেলে সাইফের বোলিংয়ের বড় শক্তি, দারুণ ইয়র্কার করতে পারেন। ইয়র্কার শেখার পেছনের গল্পটাও শোনালেন এই অলরাউন্ডার, ‘ছোটবেলা থেকে পাড়ায় টেপ টেনিস ম্যাচ খেলতাম, বোঝেনই তোৃ। আসলে করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। টেপ টেনিসের বোলিংটা বর্তমান বোলিংয়ে এসেছে। এটি খুব ভালো করতে পারি।’
কাল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা। প্রতিপক্ষ অচেনা হলেও জয়ই দেখছেন সাইফ, ‘প্রথম ম্যাচটি জিতেছি; আমাদের আত্মবিশ্বাস উঁচুতে। তবে পরের ম্যাচগুলো হালকাভাবে নিচ্ছি না। এখন জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি, সেভাবেই খেলব পরের ম্যাচগুলো।