Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

21খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ : পিরোজপুরে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তার এক মামাতো ভাইসহ দুই আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
রোববার পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া দেড় বছর আগের এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের দুই আসামি মঠবাড়িয়া উপজেলার মেহেদী হাসান স্বপন (২২) ও তার বন্ধু সুমন জমাদ্দার (২০) এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশে স্বপন ও সুমনের মত জঘন্য অপরাধীদের বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়া হলে এ ধরনের অপরাধীরা উৎসাহিত হবে।”
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি দুই আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। ওই অর্থ আদায় করে তা মেয়েটির মা-বাবাকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার নয় বছর বয়সী একটি মেয়ে তার নানাবাড়িতে থেকে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে লেখাপড়া করে আসছিল।
২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সে গরুকে ঘাস খাওয়াতে স্কুলের মাঠে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। পরদিন কাছেই এক মেহগনি বাগানে তার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ক্ষতবিক্ষত নগ্ন লাশ পাওয়া যায়।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ মেয়েটির মামাতো ভাই স্বপন ও তার বন্ধু সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে সুমন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করে বলেন, স্বপনের প্ররোচনায় তারা দুজনে মিলে মেয়েটিকে মেছোবাঘ দেখানোর কথা বলে মেহগনি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা বলেন, “স্বপন ওই মেয়েটির বড় বোনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে সে ছোট বোনকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। বড় বোনকে অপহরণেরও পরিকল্পনা করেছিল সে।”
শুনানিতে মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক রোববার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেন।