খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ : প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। কক্সবাজারে আজকের ম্যাচটা জিতলেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহজেই হারানো বাংলাদেশের যুবাদের সামনে স্কটল্যান্ড সহজ প্রতিপক্ষ হলেও দিনের শুরুতেই কিন্তু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ সামলে যুব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান নাজমুল হাসানের অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট ২৫৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
অপরাজিত সেঞ্চুরিটি দিয়েই যুব ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের মালিকও হয়েছেন নাজমুল। রেকর্ডটি নিজের করে নিতে এই ম্যাচে নাজমুলের দরকার ছিল ৬২ রান। ৪০ ম্যাচে ১৬৯৫ রান করে এত দিন রেকর্ডটা নিজের করে রেখেছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান সামি আসলাম। নাজমুল হোসেন অবশ্য সামিকে ছাড়িয়ে যেতে খেললেন ৫৪টি ম্যাচ। আজকের সেঞ্চুরিসহ তাঁর মোট রান এখন ১৭৩৫।
শেষ পর্যন্ত নাজমুল অপরাজিত ছিলেন ১১৩ রানে। ১১৭ বল থেকে ১০টি চারে সাজানো এই ইনিংসটি তাঁর যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা কিন্তু মোটেও ভালো ছিল না। দলীয় ১ রানের মাথায় এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন পিনাক ঘোষ। আগের ম্যাচে মারকুটে মেজাজে ৪৩ রান করা পিনাক আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এরপর ১৭ রানের মাথায় ফেরেন জয়রাজ শেখ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৩।
দ্রুত ২ উইকেট হারানো দলকে স্বস্তি দেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর সাইফ হাসান। এই দুই ব্যাটসম্যান ১০১ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। সাইফ আউট হন ৪৯ রানে। সাইফের বিদায়ের পর নাজমুলের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৮ বলে ৫১ করে মিরাজ দারুণ সঙ্গ দেন নাজমুলকে। তাঁর বিদায়ের পর সাঈদ সরকারের ৬ বলে ১৬ রানের এক ঝোড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের রান আড়াই শ পেরিয়ে যায়।
স্কটল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ গাফফার। তিনি ৬০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া রায়ান ব্রাউন ও মিচেল রাও নিয়েছেন একটি করে উইকেট।