খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন নয়, একাত্তরে যারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মুরগি সরবরাহ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তারাই এখন মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার কাজে লিপ্ত রয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর সাধুর মোড় এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা বিতর্ক করিনি। আমাদের পার্টির চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়া) একটা বিষয়ে বলেছেন যে সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিন্তু কোনো বিতর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন, পরিসংখ্যান দিয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, এই সংখ্যা (শহীদ) নিয়ে বিতর্ক আছে।
তিনি তো কমও বলেননি, বেশিও বলেননি। বিতর্কটা শুরু করেছে কারা? যাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মুরগি সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছে। দপ্তরের দায়িত্বে থাকা বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই সরকার গণবিরোধী, নির্মম, নির্দয় একটি দখলবাজ সরকার। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) তিনি তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্য রাখার কারণে আওয়ামী শাসক দলের প্রশ্রয়ে একটি সংগঠন তাঁর বাড়িতে গতকাল (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে সেখানে অবস্থান করছে, আশপাশে অবস্থান করছে। বাড়িতে ঢিল-পাটকেল মারছে। ব্যানার পোস্টার নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি দিচ্ছে। এই পরিবেশ বিরাজমান আছে।
আমি মনে করি এটা অত্যন্ত উদ্দেশপ্রণোদিত রূপ। এটা বিভৎস নিষ্ঠুরতার এই সরকারের আরেকটি আত্মপ্রকাশ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রিজভী আহমেদ বলেন, ভোটারবিহীন সরকার তাদের অনাচার, অবিচার ও গণতন্ত্র হত্যার কারণে সাংঘাতিকভাবে জনবিচ্ছিন্ন। আর এখান থেকে উত্তরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ইস্যু সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপিকে ধ্বংসের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে দাবি করে রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপিকে ধ্বংসের এই অপচেষ্টা কোনো দিনই সফল হবে না।