খোলা বাজার২৪, সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায় সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় র্যাবের অভিযানে মাটি খুঁড়ে ৪১ হাজার গুলি উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়ারীশ জানান, র্যাব-৫ এর একটি দল সকাল ৮টার দিকে ভুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় ওই অভিযান শুরু করে।
“অভিযান এখনও চলছে। দুপুর পর্যন্ত মেশিনগানের গুলি ২২ হাজার, এলএমজির গুলি ১৭ হাজার, এন্টি এয়ারক্রাফট এমুনিশন দুই হাজার, ম্যাগজিন ৩৭টি, ওয়াকিটকি ছয়টি, বন্দুক পরিষ্কারের যন্ত্র আটটি, ওয়্যারলেস চার্জার দুইটিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।”
২০১০ সালে ঝিনাইগাতির বাকাঁকুড়া গুচ্ছগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ হাজার রাইফেলের গুলি। ২০১০ সালে ঝিনাইগাতির বাকাঁকুড়া গুচ্ছগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ হাজার রাইফেলের গুলি। তবে এসব গুলি কারা সেখানে রেখেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালে ঝিনাইগাতির বাকাঁকুড়া গুচ্ছগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ হাজার রাইফেলের গুলি।
২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫০ হাজার গুলি, রকেট, মাইন ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার হয়। ২০১২ সালে নালিতাবাড়ির এক গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় একে-৪৭ রাইফেল ও গুলি।
মাইন উদ্ধারের পর ২০১০ সালে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সেগুলো ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘সংযুক্ত মুক্তি বাহিনী অসম’ বা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফার) এর ফেলে যাওয়া গোলাবারুদ বলে ধারণা করছে তারা।