Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

49খোলা বাজার২৪, সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : স্লিম হওয়ার জন্য আমরা কতই না চেষ্টা করি। স্লিম হতে গিয়ে আমরা অনেকেই পুষ্টির কথা ভুলে যাই। জেনে নিন এমন কিছু খাবার যা রোগা হতে গেলে খেতেই হবে রাখতেই হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলোর নাম।
দই: ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ দই সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতে খাবার সবকিছুর জন্যই ভাল। এমনকী স্ন্যাক্স হিসেবে বা শেষপাতে খাওয়ার জন্যও দই খুব উপকারী।
বাদাম: রোগা হতে গেলে ক্ষুধা চেপে রাখার প্রয়োজন নেই। বাদাম রাখুন হাতের কাছে। যখনই অল্প অল্প ক্ষুধা পাবে একমুঠো বাদাম মুখে ফেলে চিবোতে থাকুন। এতে রয়েছে প্রোটিন, আঁশ ও প্রয়োজনীয় ফ্যাট। যা ক্ষুধাও মেটাবে, ওজনের খেয়ালও রাখবে। কাজু বাদামে ক্যালরি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ক্ষুধার সময় দু’তিনটে কাজু বাদাম খেয়ে নিলেই যথেষ্ট।
ডাল: ২০১৬ সালকে আন্তর্জাতিক ডাল বর্ষ ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড জেনারেল অ্যাসেম্বলি। ডালের প্রোটিন ও আঁশ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রোগা হতে চাইলে তাই ডায়েটে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল রাখুন।
শসা: কম ক্যালোরির সবজি হিসেবে শসার নাম আসে সবার প্রথমে। তার ওপর শসা পানি সমৃদ্ধ। ফলে শরীর হাইড্রেটেড রাখতেও উপকারী শসা। ভাত, রুটি, স্যান্ডউইচ সব কিছুর সঙ্গেই শসা খাওয়া যায়।
মুরগির মাংস: ব্যায়ামের আগে বা পরে শরীরের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রোটিন। এই প্রোটিনের চাহিদা সবচেয়ে ভাল মেটাতে পারে মুরগির মাংস। তাই ওজনের খেয়ার রাখতে ডায়েটে মুরগির মাংস রাখতেই হবে।
আপেল: একটা মাঝারি মাপের আপেলে থাকে পাঁচ গ্রাম আঁশ। সেই সঙ্গেই ভিটামিন-সি, এ এবং প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কারণে আপেল দারুণ উপকারী। অথচ ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে।
লাল আটার রুটি: লাল আটা, ঢেঁকি ছাঁটা চাল আঁশে পরিপূর্ণ। পেট পূর্ণ রাখে, ক্ষুধাও কমায়। ভাতের বদলে খান লাল আটার হাতে বানানো রুটি।
ডিম: প্রতিদিনের নাশতায় অবশ্যই রাখুন ডিম। এতে পুষ্টি যেমন হবে তেমনই সারা দিন পেট পূর্ণ থাকবে, শক্তি বাড়বে। শুধু সাদা অংশ নয়, নির্ভয়ে খান গোটা ডিম।
সবুজ শাক-সবজি: ওজন কমাতে হলে ডায়েটে থাকতেই হবে সবুজ শাক-সবজি। রং যত সবুজ স্বাস্থ্যের জন্য তত ভাল।
যব: দামও কম, বানানোও সোজা। অথচ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এক বাটি যবে রয়েছে চার গ্রাম আঁশ ও পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। প্রতিদিন নাশতায় যব খেলে ওজন নিয়ে মাথা ঘামাতেই হবে না। যবে রুটিও খেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ: স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবে সামুদ্রিক মাছ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ মাছ হার্ট সুস্থ রাখতেও দারুণ উপকারী।
কালো চকোলেট: রোগা হতে গেলে চটজলদি স্ন্যাকস হিসেবে ম্যাজিকের মতো কাজ করে কালো চকোলেট। খাওয়ার পর মিষ্টি খেতে চাইলেও ১০-২০ টুকরো কালো চকোলেট খেয়ে নিতে পারেন।
পানি: অনেক সময় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে মনে হয় যেন ক্ষুধা পেয়েছ। আবার ক্ষুধা পেলেই শরীর পানি টানে। তাই ওজন কমাতে চাইলে সারাদিন টাটকা পানি খেতে থাকুন। খাওয়ার আগে অবশ্যই খান এক গ্লাস টাটকা পানি। এতে হজম যেমন ভাল হবে, তেমনই খাবারের পরিমাণও কমবে।