কিউরেটিভ পিটিশনের ভিত্তিতে দেশটির শীর্ষ আদালত এমনই রায় দিল। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সমকামিতা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করেন সমকামীরা। গতকাল মঙ্গলবার পিটিশনের মামলা শুরু হয়।
শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি টি এস ঠাকুর, এ আর দাভে এবং জে এস খেহারের ডিভিশন বেঞ্চ কিউরেটিভ পিটিশনটি গ্রহণ করে এবং সমকামিতাকে অপরাধের তালিকার বাইরে রাখার আবেদন করেন। এটাকে জনগণের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা এবং অধিকারের বিষয় বলেও জানায় আদালত। তবে সমকামিতাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে শুনানিতে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এই বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, সমকামিতার বিষয়টি সংবিধানের সঙ্গে জড়িত এবং সমকামিতা নিষিদ্ধকরণের ১৮৬১ সালের যে আইন রয়েছে, সেটি কেবল সংসদই পরিবর্তিত করতে পারে। তবে আইন পরিবর্তন করা উচিত কি-না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মামলাটি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়।
সমকামিতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও সুপ্রিম কোর্টের এমন পদক্ষেপে খুশি সমকামীরা। তাদের মতে, আদালত যে সমকামীদের আবেদন খারিজ করে দেয়নি এবং গুরুত্ব সহকারে শুনেছে সেটা খুব ভালো খবর।