খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : গত ৩ ফেব্র“য়ারি রাতে সেগুনবাগিচা পিডব্লিউডি মসজিদে নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির মিটিং থেকে গ্রেফতার করা হয় ২০নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিডব্লিউডি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সংগঠক রাইসুল ইসলাম চন্দনকে। শাহবাগ থানায় নিয়ে তার বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন নাশকতামূলক ৪টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বর্তমানে সে কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। তার গ্রেফতারে তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ৪ ফেব্র“য়ারী বিবৃতি দিয়েছেন এনডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপের যুগ্ম মহাসচিব বাবু স্বপন কুমার সাহা, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার, বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তফাজামান লিটু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কর্মজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, জিয়া সেনার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতিনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। নেতৃবন্দ বলেন, শুধুমাত্র বিএনপি করার কারনেই তাকে হয়রানী ও নির্যাতন করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে ৪টি পেন্ডিং মামলায় আসামী করা হয়েছে পূর্বে সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী রাইসুল ইসলাম চন্দন ছিল না। সে ২০নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকার কারনে বর্তমান শাসক দল সুপরিকল্পিতভাবে তাকে হয়রানী করার জন্য পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। পিডব্লিউডি’র মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। বর্তমানে কমিটি থেকে তাকে বাদ দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে জানাযায় সম্প্রতি সেগুনবাগিচাস্থ রহিমা আদর্শ বিদ্যালয় ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সাবিহা আখতার সোনালীর সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলে তার হত্যার বিচারের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছিল। এতে করে শাসকদলের নেতৃবৃন্দের কু-নজরে পড়ার কারনে তাকেই গ্রেফতার হতে হয়েছে। যে সময় রাইসুল ইসলাম চন্দনকে গ্রেফতার করা হলো সেই মুহুর্তে তার বড় মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। পরীক্ষা চলাকালে বাবার এই অপ্রত্যাশিত গ্রেফতার তার ভাল ফলাফলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও নেতৃবৃন্দ মনে করেন। নেতৃবন্দ অবিলম্বে রাইসুল ইসলাম চন্দনসহ গ্রেফতারকৃত বিএনপি’র সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।