খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : যৌনকর্মীর সঙ্গে লিপ্ত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে চীনের এক পেনশনভোগী বৃদ্ধের। কিন্তু মৃত্যুর পরও যৌনাঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করা গেল না মৃতের পুরুষাঙ্গ। বাধ্য হয়ে সেই অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল জীবিত-মৃত জুটিকে। খবর এই সময়ের। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে চেয়েছিলেন চীনের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ।
এক রাতে তাই যৌনকর্মীর সঙ্গে নিজের আবাসনে শরীরী খেলায় মেতেছিলেন। কিন্তু চরম অনুভূতির সময় হঠাৎ তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে। সঙ্গমরত অবস্থায় মারা যান বৃদ্ধ। কিন্তু তাঁর পুরুষাঙ্গ শিথিল না হওয়ায় যৌনসঙ্গীর যোনির ভিতরে আটকে যায়। বৃদ্ধের আচমকা মৃত্যুতে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই যৌনকর্মী। সাহায্য চেয়ে ফোন করলে বাড়িতে ছুটে আসেন জরুরি চিকিৎসা বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু চেষ্টা করেও যোনির বন্ধন থেকে মুক্ত করা যায়নি লিঙ্গ। বাধ্য হয়ে লিপ্ত অবস্থাতেই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যুগলকে। স্ট্রেচার থেকে ট্রলি, নীল চাদরে ঢাকা জীবিত ও মৃতের অদ্ভুত জুটিকে তৎপরতার সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের চেষ্টায় অবশেষে মৃতের পুরুষাঙ্গ ওই যৌনকর্মীর যোনি থেকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যৌন মিলনের কারণে অর্গ্যাজম-এর ফলে যৌনাঙ্গের ভিতরের পেশিগুলি কুঁচকে যায়। এর ফলে যৌনাঙ্গে প্রবেশ করা পুরুষাঙ্গের ওপর অনেক সময় তা চেপে বসে।
সাধারণত কুকুর এবং অন্য পশুদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটলেও মানুষের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বিরল। এই শারীরিক জটিলতাকে চিকিৎসার ভাষায় ‘পেনিস ক্যাপটিভাস’ বলা হয়। তবে সাধারণত এমন পরিস্থিতি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। চীনের ওই বৃদ্ধের ক্ষেত্রে অবশ্য জটিল শারীরিক পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। নিজেকে যৌনসঙ্গীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে হাসপাতালে মৃতের দেহের উপর সেঁটে থাকা যৌনকর্মীর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। চীনের ভিডিও শেয়ারিং সাইট মিয়াওপাই-এর মাধ্যমে প্রথম দফায় ১,৩৭,০০০ জন ভিডিওটি দেখেছেন বলে জানা গেছে। তবে চীনের ঠিক কোন অংশে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।