খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক ছিলেন তিনি। অথচ মাঠের বাইরের ঘটনায় কী বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই না পড়তে হচ্ছে রাজু রিজলকে। প্রশ্ন উঠেছে নেপাল যুবা অধিনায়কের বয়স নিয়ে! বিষয়টি এত দূর গড়িয়েছে, আইসিসিকে ছোটখাটো তদন্ত করে বিবৃতিও দিতে হয়েছে।
রিজলের ওপরে চাপটি চিন্তা করে দেখুন। হয়তো তিনি আসলেই বয়স লুকিয়েছেন। কিন্তু নির্দোষও তো হতে পারেন। অভিযোগ তো আর প্রমাণিত নয়। সেই বিতর্কের চাপ মাথায় নিয়ে নেপালের অধিনায়ক আজ খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। ৮০ বলে তাঁর ৭২ রানের ইনিংসটিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে নেপাল। ৯ উইকেটে তুলেছে ২১১।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটি খেলতে পারলেই সেমিফাইনাল!
১৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন রিজল। শুধু দ্রুত দুটি উইকেট পড়েছে বলেই নয়, রান রেটও ছিল কম। মাঠের বাইরের সেই বিতর্কের চাপের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো মাঠের ভেতরের চাপ। সেই অবস্থায় রিজল পরিস্থিতির দাবি মেনে ব্যাটিং করলেন। কখনো রক্ষণাত্মক, কখনো পাল্টা আক্রমণ। ক্রিকেটে ইনিংস গড়েই ওঠে জুটিতে। আর সেই কাজটিই করলেন তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে দারুণ দুটি জুটি গড়ে। বাংলাদেশ আজ ফিল্ডিংয়ে ছিল দুর্দান্ত। চার রান আউটের একটির শিকার হয়ে রিজল ফিরেছেন। না হলে এক সময় তো মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিই হয়তো পেয়ে যাবেন, শেষের দিকে মেরে খেলে রানটাও বাড়িয়ে নেবেন।
৮ চার ও ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি খেলা রিজলকে থামিয়েছে ফিল্ডিংয়ে শান্ত-জাকিরের দ্বিতীয় যুগলবন্দীতে। মজার ব্যাপার হলো, শান্তর থ্রো থেকে উইকেটকিপার জাকিরের করা রান আউটে ফিরেছেন নেপালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা সুনীল ধামালাও।
এই ধামালাকে নিয়েই তৃতীয় উইকেট জুটিতে রিজলের প্রথম প্রতিরোধ। ৪৪ রানের জুটিটা ভাঙার পর আরিফ শেখের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫১ রানের আরেকটি জুটি গড়েন রিজল। এই দুটি জুটি লড়াই ভিত্তি দিলেও পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে নেপাল বেশ চাপে পড়ে যায়। এর মধ্যে নেপালের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো হয় রিজলকেই রান আউটে হারিয়ে। ১৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নেপাল কত দূর যেতে পারে সেটিই ছিল দেখার।
কিন্তু তাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে অহেতুক ঝুঁকি না দিয়ে স্কোরটা যথাসম্ভব বড় করতে চেয়েছে। আর তাই নেপালের স্কোর দুই শ পার হয়েছে। দিপেন্দ্র আইরি ও কুশল ভার্তাল সপ্তম উইকেটে ২৫ম আর আইরি-তামাংয়ের অষ্টম উইকেট জুটি ২৪ যোগ করে স্কোরে।
বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেছেন রিজল। সময়ের প্রয়োজনে বলে বলে রান করেছেন। আবার পরিস্থিতির দাবি মেনে খোলসে ঢুকেও পড়েছেন। প্রথম ১৯ বলে রিজলের রান ১৯, পরের ৩২ বলে ২০। এর পরের ৭ বলে ১১, ফিফটি করেছেন ৫৮ বলে। পরের ২২ বলে ১২ রান, রান আউটে ফেরার বিতর্ক পেছনে ফেলে সেই অধিনায়ক এনে দিলেন পুঁজি
খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক ছিলেন তিনি। অথচ মাঠের বাইরের ঘটনায় কী বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই না পড়তে হচ্ছে রাজু রিজলকে। প্রশ্ন উঠেছে নেপাল যুবা অধিনায়কের বয়স নিয়ে! বিষয়টি এত দূর গড়িয়েছে, আইসিসিকে ছোটখাটো তদন্ত করে বিবৃতিও দিতে হয়েছে।
রিজলের ওপরে চাপটি চিন্তা করে দেখুন। হয়তো তিনি আসলেই বয়স লুকিয়েছেন। কিন্তু নির্দোষও তো হতে পারেন। অভিযোগ তো আর প্রমাণিত নয়। সেই বিতর্কের চাপ মাথায় নিয়ে নেপালের অধিনায়ক আজ খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। ৮০ বলে তাঁর ৭২ রানের ইনিংসটিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে নেপাল। ৯ উইকেটে তুলেছে ২১১।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটি খেলতে পারলেই সেমিফাইনাল!
১৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন রিজল। শুধু দ্রুত দুটি উইকেট পড়েছে বলেই নয়, রান রেটও ছিল কম। মাঠের বাইরের সেই বিতর্কের চাপের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো মাঠের ভেতরের চাপ। সেই অবস্থায় রিজল পরিস্থিতির দাবি মেনে ব্যাটিং করলেন। কখনো রক্ষণাত্মক, কখনো পাল্টা আক্রমণ। ক্রিকেটে ইনিংস গড়েই ওঠে জুটিতে। আর সেই কাজটিই করলেন তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে দারুণ দুটি জুটি গড়ে। বাংলাদেশ আজ ফিল্ডিংয়ে ছিল দুর্দান্ত। চার রান আউটের একটির শিকার হয়ে রিজল ফিরেছেন। না হলে এক সময় তো মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিই হয়তো পেয়ে যাবেন, শেষের দিকে মেরে খেলে রানটাও বাড়িয়ে নেবেন।
৮ চার ও ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি খেলা রিজলকে থামিয়েছে ফিল্ডিংয়ে শান্ত-জাকিরের দ্বিতীয় যুগলবন্দীতে। মজার ব্যাপার হলো, শান্তর থ্রো থেকে উইকেটকিপার জাকিরের করা রান আউটে ফিরেছেন নেপালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা সুনীল ধামালাও।
এই ধামালাকে নিয়েই তৃতীয় উইকেট জুটিতে রিজলের প্রথম প্রতিরোধ। ৪৪ রানের জুটিটা ভাঙার পর আরিফ শেখের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫১ রানের আরেকটি জুটি গড়েন রিজল। এই দুটি জুটি লড়াই ভিত্তি দিলেও পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে নেপাল বেশ চাপে পড়ে যায়। এর মধ্যে নেপালের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি তো হয় রিজলকেই রান আউটে হারিয়ে। ১৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর নেপাল কত দূর যেতে পারে সেটিই ছিল দেখার।
কিন্তু তাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে অহেতুক ঝুঁকি না দিয়ে স্কোরটা যথাসম্ভব বড় করতে চেয়েছে। আর তাই নেপালের স্কোর দুই শ পার হয়েছে। দিপেন্দ্র আইরি ও কুশল ভার্তাল সপ্তম উইকেটে ২৫ম আর আইরি-তামাংয়ের অষ্টম উইকেট জুটি ২৪ যোগ করে স্কোরে।
বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেছেন রিজল। সময়ের প্রয়োজনে বলে বলে রান করেছেন। আবার পরিস্থিতির দাবি মেনে খোলসে ঢুকেও পড়েছেন। প্রথম ১৯ বলে রিজলের রান ১৯, পরের ৩২ বলে ২০। এর পরের ৭ বলে ১১, ফিফটি করেছেন ৫৮ বলে। পরের ২২ বলে ১২ রান, রান আউটে ফেরার আগে ৮০ বলে খেলেছেন ৭২ রানের সময়োপযোগী ইনিংস।
তবে দেখার মতো ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফিল্ডিংও। গ্রুপ পর্বে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মিরাজদের ফিল্ডিং ছিল মুগ্ধতা জাগানিয়া। সেটি টিভিতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের যুবাদের ফিল্ডিং নিয়ে কেন এত প্রশংসা করা হয়, তারই সাক্ষী হয়ে থাকল আজকে নেপালের ইনিংসের চারটি রান আউট।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ স্পিনারদের দাপট থাকলেও আজ সফল পেসাররা। দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই নেপালি ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা ও সাইফউদ্দিন। বাঁহাতি পেসার রানা ১০ ওভারে ৩০ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট, সাইফ ১০ ওভারে ৩৮ রানে উইকেট।
এবার দায়িত্ব বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।৮০ বলে খেলেছেন ৭২ রানের সময়োপযোগী ইনিংস।
তবে দেখার মতো ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফিল্ডিংও। গ্রুপ পর্বে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মিরাজদের ফিল্ডিং ছিল মুগ্ধতা জাগানিয়া। সেটি টিভিতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের যুবাদের ফিল্ডিং নিয়ে কেন এত প্রশংসা করা হয়, তারই সাক্ষী হয়ে থাকল আজকে নেপালের ইনিংসের চারটি রান আউট।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ স্পিনারদের দাপট থাকলেও আজ সফল পেসাররা। দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই নেপালি ব্যাটসম্যানদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা ও সাইফউদ্দিন। বাঁহাতি পেসার রানা ১০ ওভারে ৩০ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট, সাইফ ১০ ওভারে ৩৮ রানে উইকেট।
এবার দায়িত্ব বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।