Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

41খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কারাবন্দি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জোয়াকিন গুজমান ‘এল চ্যাপো’র সঙ্গে ‘যোগাযোগ ছিল’ সন্দেহে অভিনেত্রী কেট দেল ক্যাসতিয়োকে খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন মেক্সিকোর সরকারি আইন কর্মকর্তারা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল বছর ‘অনার দেল ক্যাসতিয়ো’ নামে টাকিলার যে নতুন ব্র্যান্ড খোলা হয়, তার জন্য ক্যাসতিয়ো গুজমানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে কৌঁসুলিরা অভিযোগ করছেন।
গুজমানের সঙ্গে ‘তেলেনোবেলা মুচাচিতাস’ খ্যাত এ অভিনেত্রীর এমন যোগাযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল এরেলি গোমেজ। দেশটির এল ইউনিভার্সেল পত্রিকাকে অ্যাটর্নি জেনারেল গোমেজ বলেন, এল চ্যাপো ও ক্যাসতিয়োর বেশ কয়েকটি ফোন বার্তা আইন কর্মকর্তাদের হাতে এসেছে। ওইসব মেসেজে ‘অর্ডার’ ‘ব্যবসা’ ও ‘চলো একসাথে করি’ কথাগুলো আছে, বলেন গোমেজ। হলিউড অভিনেতা শন পেন ও এল চ্যাপোর মধ্যে অক্টোবরে হওয়া বৈঠক ক্যাসতিয়োই ঠিক করে দিয়েছিলেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। গুজমান সে সময় পলাতক ছিলেন। ক্যাসতিয়ো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মেক্সিকোয় জন্ম নেওয়া এ অভিনেত্রীর মার্কিন নাগরিকত্ব আছে। মেক্সিকোর আইন কর্মকর্তাদের দেওয়া গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের এই আদেশ দেশটির সীমান্তের বাইরে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে বিবিসি। নিজ দেশে ফেরত গেলেই কেবল ক্যাসতিয়োকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। ক্যাসতিয়োর আইনজীবী হার্লান্ড ব্রাউন বিবিসিকে বলেছেন, ‘সঠিক তথ্য ও পরিচয় নিশ্চিত হলে’ তার মক্কেল মেক্সিকান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তিনি (ক্যাসতিয়ো) কোনো কিছুই গোপন করছেন না।
তাকে খুঁজে পেতেও সমস্যা হবে না। সবাই তার আইনজীবী, প্রচারকারী এমনকি এজেন্টদেরও চেনে, বলেন ব্রাউন। চলতি বছরের শুরুর দিকে মেক্সিকোর লো মোচিজ শহরের দক্স হোটেল থেকে গুজমানকে আটক করা হয়। এর ছয় মাস আগে মেক্সিকোর সুরক্ষিত কারাগার থেকে দেড় কিলোমিটার টানেল খুঁড়ে পালিয়েছিলেন তিনি। ‘শর্টি’ ও ‘এল চ্যাপো’ নামে ব্যাপক পরিচিত এ ‘মাদক সম্রাটের’ ‘সিনালোয়া কার্টেল’ মেক্সিকো ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে কোকেন, হেরোইন, মারিজুয়ানা ও মেথাম্ফেটামাইন পাচারের জন্য কুখ্যাত। গুজমানকে আটকের পরপরই ক্যাসতিয়োকে লস অ্যাঞ্জেলসের মেক্সিকান দূতাবাসে ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ ডাকা হয়েছিল। ক্যাসতিয়ো সেই ডাক অগ্রাহ্য করার পরই নতুন এই আদেশ এলো।