Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : ক্সবাজারের উখিয়া উপকূলে আইনশৃখলার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ প্রসাশনের নমনিয়তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় প্রশাসনের তালিতায় থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড মানপাচারীরা স্বরুপে এলাকায় ফিরেছে। বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মানবপাচার। গতবছর থাইল্যান্ডে মালেয়শিয়াগামী বাংলাদেশী জনগনের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর প্রসাশনের তোলপাড় শুরু হয়।
এ সময় উখিয়ার শীর্ষ ২ শতাধিক মানবপাচারকারী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঐ সময় কথিত বন্ধুকযুদ্ধে কক্সবাজারের ৫ মানবপাচারকারী নিহত হলে চিন্থিত মানবপাচারকারীরা কেউ বিদেশে আর কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত শীত মৌসুমের শুরু থেকে প্রসাশনের তালিকায় থাকা শীর্ষ মানবপাচারকারী চত্রু কক্সবাজারের প্রভাবশালী নেতা ও প্রসাশনকে ম্যানেজের মাধ্যমে আবারো প্রকাশ্যে এসে মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ জন্য পাচারকারীরা উপজেলার উপকুলবর্তী এলাকাকে বেছে নেওয়ায় স্থানীয় জনসাধারন আবারো চরমভাবে উৎকন্ঠিত। বিশেষ করে জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় সোনারপাড়া, ইনানী, ডেইলপাড়া, মোঃ শফির বিল, মনখালী, ছোয়াংখালী, ছেপটখালী,পাটোয়ার টেক সহ বিশাল সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা জুড়ে শক্তিশালী মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। প্রসাশন এসব মানব পাচারকারীদের ব্যাপারে অবগত থাকলেও মাসিক মাসোহারা পাওয়ার কারনে চিন্থিত মানব পাচারকারীরা বহাল তবিয়তেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপকুলীয় এলাকার লোকজন জানায়, শীত মৌসুমের শুরু থেকে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারকারীরা আবারো প্রকাশ্যে এসে বেপরোয়া ভাবে তাদের মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় তারা রীতিমত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে বলে জানান। জনপ্রতি মাত্র ১০/২০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি। মানবপাচারকারীদের অবশিষ্ট টাকা মালয়েশিয়ায় গিয়ে পরিশোধ করবে মর্মে অঙ্গীকার দিতে হয় মালয়েশিয়া গামীদের।
তবে পাচারকারী চত্রু এসব মালেয়শিয়া গামী যাত্রীদের তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে মালেয়শিয়ায় না পৌছিয়ে থাইল্যান্ডের গভীর অরন্যে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশী আদায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মেম্বার সহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক একাধিক নেতা পাচারে জড়িত থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন একটু নমনীয় ভাব দেখাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলাকায় এসে প্রসাশন তাদের বাড়তি কমিশন নিয়ে চলে যাচ্ছে। উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ার নুরুল কবির, রেবি আক্তার ও কায়সার জনির বিরুদ্ধে মানবপাচারের একাধিক মামলা ও সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পর ও তারা প্রকাশ্যে বিচরন করছে।
অভিযোগ রয়েছে, রেবি, জনি ও নুরুল কবিরের প্রতি কক্সবাজারের সরকার দলীয় এক শীর্ষ নেতার আশির্বাদ থাকায় তারা গ্রেফতার এড়িয়ে মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পশ্চিম সোনাইছড়ির আলীর রুস্তম আলী, পূর্ব সোনারপাড়ার লালু মাঝি, পশ্চিম সোনারপাড়ার নুরুল আবছার, লম্বরীপাড়ার মফিজুর রহমান , পশ্চিম সোনাইছড়ির শাহ আলম, লম্বরীপাড়ার বেলাল, সোনাইছড়ির আক্তার, পশ্চিম সোনারপাড়ার সৈয়দ আলম, সওদাগরপাড়ার মফিজ ওরফে , সোনার পাড়ার জয়নাল আবেদিন, পশ্চিম সোনারপাড়ার জাফর মাঝি, সোনাইছড়ির বেলাল, মীর আহমদ, ফয়েজ আহমদ, কালা জমির ও মোজাম্মেল সহ প্রসাশনের তালিকায় মোষ্ট ওয়ান্টেড মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সহায়তায় গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা প্রসাশনকে ম্যানেজের মাধ্যমে শীর্ষ মানবপাচারকারীদের এলাকায় আসতে সহযোগিতা করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রসাশনের তালিকায় থাকা মোষ্ট ওয়ান্টেড ৩০০ জন ব্যাক্তিকে মানবপাচারকারী দালাল হিসেবে চিন্থিত করা হলেও ২/১ জন ছাড়া এদের কারো বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্ত পুলিশের দুর্নীতিবাজ কিছু সদস্যের সহায়তায় তারা নির্বিঘেœ মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনগনের অভিযোগ। উপজেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, মানবপাচার প্রতিরোধে ব্যাপক ভাবে জনসচেনতামূলক সভা-সেমিনার করে যাচ্ছি।
মানবপাচারকারীদের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ ও পুলিশের গভীর সখ্যতা রয়েছে। ফলে স্থানীয়ভাবে মানবপাচার প্রতিরোধে কাজ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে উখিয়া-টেকনাফের সহকারী পুলিশ (সার্কেল) আব্দুল মালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানবপাচরকারীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিক। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চিন্থিত মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবপাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মানবপাচারকারী চক্র বেপরোয়া: প্রসাশনের নমনীয়তা
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ভরষব-(১২)ক্সবাজারের উখিয়া উপকূলে আইনশৃখলার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ প্রসাশনের নমনিয়তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় প্রশাসনের তালিতায় থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড মানপাচারীরা স্বরুপে এলাকায় ফিরেছে। বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মানবপাচার। গতবছর থাইল্যান্ডে মালেয়শিয়াগামী বাংলাদেশী জনগনের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর প্রসাশনের তোলপাড় শুরু হয়।
এ সময় উখিয়ার শীর্ষ ২ শতাধিক মানবপাচারকারী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঐ সময় কথিত বন্ধুকযুদ্ধে কক্সবাজারের ৫ মানবপাচারকারী নিহত হলে চিন্থিত মানবপাচারকারীরা কেউ বিদেশে আর কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত শীত মৌসুমের শুরু থেকে প্রসাশনের তালিকায় থাকা শীর্ষ মানবপাচারকারী চত্রু কক্সবাজারের প্রভাবশালী নেতা ও প্রসাশনকে ম্যানেজের মাধ্যমে আবারো প্রকাশ্যে এসে মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ জন্য পাচারকারীরা উপজেলার উপকুলবর্তী এলাকাকে বেছে নেওয়ায় স্থানীয় জনসাধারন আবারো চরমভাবে উৎকন্ঠিত। বিশেষ করে জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় সোনারপাড়া, ইনানী, ডেইলপাড়া, মোঃ শফির বিল, মনখালী, ছোয়াংখালী, ছেপটখালী,পাটোয়ার টেক সহ বিশাল সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা জুড়ে শক্তিশালী মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। প্রসাশন এসব মানব পাচারকারীদের ব্যাপারে অবগত থাকলেও মাসিক মাসোহারা পাওয়ার কারনে চিন্থিত মানব পাচারকারীরা বহাল তবিয়তেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপকুলীয় এলাকার লোকজন জানায়, শীত মৌসুমের শুরু থেকে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারকারীরা আবারো প্রকাশ্যে এসে বেপরোয়া ভাবে তাদের মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় তারা রীতিমত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে বলে জানান। জনপ্রতি মাত্র ১০/২০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি। মানবপাচারকারীদের অবশিষ্ট টাকা মালয়েশিয়ায় গিয়ে পরিশোধ করবে মর্মে অঙ্গীকার দিতে হয় মালয়েশিয়া গামীদের।
তবে পাচারকারী চত্রু এসব মালেয়শিয়া গামী যাত্রীদের তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে মালেয়শিয়ায় না পৌছিয়ে থাইল্যান্ডের গভীর অরন্যে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশী আদায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মেম্বার সহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক একাধিক নেতা পাচারে জড়িত থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন একটু নমনীয় ভাব দেখাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলাকায় এসে প্রসাশন তাদের বাড়তি কমিশন নিয়ে চলে যাচ্ছে। উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ার নুরুল কবির, রেবি আক্তার ও কায়সার জনির বিরুদ্ধে মানবপাচারের একাধিক মামলা ও সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পর ও তারা প্রকাশ্যে বিচরন করছে।
অভিযোগ রয়েছে, রেবি, জনি ও নুরুল কবিরের প্রতি কক্সবাজারের সরকার দলীয় এক শীর্ষ নেতার আশির্বাদ থাকায় তারা গ্রেফতার এড়িয়ে মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পশ্চিম সোনাইছড়ির আলীর রুস্তম আলী, পূর্ব সোনারপাড়ার লালু মাঝি, পশ্চিম সোনারপাড়ার নুরুল আবছার, লম্বরীপাড়ার মফিজুর রহমান , পশ্চিম সোনাইছড়ির শাহ আলম, লম্বরীপাড়ার বেলাল, সোনাইছড়ির আক্তার, পশ্চিম সোনারপাড়ার সৈয়দ আলম, সওদাগরপাড়ার মফিজ ওরফে , সোনার পাড়ার জয়নাল আবেদিন, পশ্চিম সোনারপাড়ার জাফর মাঝি, সোনাইছড়ির বেলাল, মীর আহমদ, ফয়েজ আহমদ, কালা জমির ও মোজাম্মেল সহ প্রসাশনের তালিকায় মোষ্ট ওয়ান্টেড মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সহায়তায় গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা প্রসাশনকে ম্যানেজের মাধ্যমে শীর্ষ মানবপাচারকারীদের এলাকায় আসতে সহযোগিতা করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রসাশনের তালিকায় থাকা মোষ্ট ওয়ান্টেড ৩০০ জন ব্যাক্তিকে মানবপাচারকারী দালাল হিসেবে চিন্থিত করা হলেও ২/১ জন ছাড়া এদের কারো বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্ত পুলিশের দুর্নীতিবাজ কিছু সদস্যের সহায়তায় তারা নির্বিঘেœ মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনগনের অভিযোগ। উপজেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, মানবপাচার প্রতিরোধে ব্যাপক ভাবে জনসচেনতামূলক সভা-সেমিনার করে যাচ্ছি।
মানবপাচারকারীদের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ ও পুলিশের গভীর সখ্যতা রয়েছে। ফলে স্থানীয়ভাবে মানবপাচার প্রতিরোধে কাজ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে উখিয়া-টেকনাফের সহকারী পুলিশ (সার্কেল) আব্দুল মালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানবপাচরকারীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিক। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চিন্থিত মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবপাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মানবপাচারকারী চক্র বেপরোয়া: প্রসাশনের নমনীয়তা
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ভরষব-(১২)ক্সবাজারের উখিয়া উপকূলে আইনশৃখলার রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ প্রসাশনের নমনিয়তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় প্রশাসনের তালিতায় থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড মানপাচারীরা স্বরুপে এলাকায় ফিরেছে। বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মানবপাচার। গতবছর থাইল্যান্ডে মালেয়শিয়াগামী বাংলাদেশী জনগনের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর প্রসাশনের তোলপাড় শুরু হয়।
এ সময় উখিয়ার শীর্ষ ২ শতাধিক মানবপাচারকারী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঐ সময় কথিত বন্ধুকযুদ্ধে কক্সবাজারের ৫ মানবপাচারকারী নিহত হলে চিন্থিত মানবপাচারকারীরা কেউ বিদেশে আর কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্ত শীত মৌসুমের শুরু থেকে প্রসাশনের তালিকায় থাকা শীর্ষ মানবপাচারকারী চত্রু কক্সবাজারের প্রভাবশালী নেতা ও প্রসাশনকে ম্যানেজের মাধ্যমে আবারো প্রকাশ্যে এসে মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ জন্য পাচারকারীরা উপজেলার উপকুলবর্তী এলাকাকে বেছে নেওয়ায় স্থানীয় জনসাধারন আবারো চরমভাবে উৎকন্ঠিত। বিশেষ করে জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় সোনারপাড়া, ইনানী, ডেইলপাড়া, মোঃ শফির বিল, মনখালী, ছোয়াংখালী, ছেপটখালী,পাটোয়ার টেক সহ বিশাল সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা জুড়ে শক্তিশালী মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। প্রসাশন এসব মানব পাচারকারীদের ব্যাপারে অবগত থাকলেও মাসিক মাসোহারা পাওয়ার কারনে চিন্থিত মানব পাচারকারীরা বহাল তবিয়তেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপকুলীয় এলাকার লোকজন জানায়, শীত মৌসুমের শুরু থেকে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারকারীরা আবারো প্রকাশ্যে এসে বেপরোয়া ভাবে তাদের মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় তারা রীতিমত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে বলে জানান। জনপ্রতি মাত্র ১০/২০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি। মানবপাচারকারীদের অবশিষ্ট টাকা মালয়েশিয়ায় গিয়ে পরিশোধ করবে মর্মে অঙ্গীকার দিতে হয় মালয়েশিয়া গামীদের।
তবে পাচারকারী চত্রু এসব মালেয়শিয়া গামী যাত্রীদের তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে মালেয়শিয়ায় না পৌছিয়ে থাইল্যান্ডের গভীর অরন্যে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশী আদায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মেম্বার সহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক একাধিক নেতা পাচারে জড়িত থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন একটু নমনীয় ভাব দেখাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলাকায় এসে প্রসাশন তাদের বাড়তি কমিশন নিয়ে চলে যাচ্ছে। উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ার নুরুল কবির, রেবি আক্তার ও কায়সার জনির বিরুদ্ধে মানবপাচারের একাধিক মামলা ও সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পর ও তারা প্রকাশ্যে বিচরন করছে।
অভিযোগ রয়েছে, রেবি, জনি ও নুরুল কবিরের প্রতি কক্সবাজারের সরকার দলীয় এক শীর্ষ নেতার আশির্বাদ থাকায় তারা গ্রেফতার এড়িয়ে মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পশ্চিম সোনাইছড়ির আলীর রুস্তম আলী, পূর্ব সোনারপাড়ার লালু মাঝি, পশ্চিম সোনারপাড়ার নুরুল আবছার, লম্বরীপাড়ার মফিজুর রহমান , পশ্চিম সোনাইছড়ির শাহ আলম, লম্বরীপাড়ার বেলাল, সোনাইছড়ির আক্তার, পশ্চিম সোনারপাড়ার সৈয়দ আলম, সওদাগরপাড়ার মফিজ ওরফে , সোনার পাড়ার জয়নাল আবেদিন, পশ্চিম সোনারপাড়ার জাফর মাঝি, সোনাইছড়ির বেলাল, মীর আহমদ, ফয়েজ আহমদ, কালা জমির ও মোজাম্মেল সহ প্রসাশনের তালিকায় মোষ্ট ওয়ান্টেড মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সহায়তায় গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা প্রসাশনকে ম্যানেজের মাধ্যমে শীর্ষ মানবপাচারকারীদের এলাকায় আসতে সহযোগিতা করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রসাশনের তালিকায় থাকা মোষ্ট ওয়ান্টেড ৩০০ জন ব্যাক্তিকে মানবপাচারকারী দালাল হিসেবে চিন্থিত করা হলেও ২/১ জন ছাড়া এদের কারো বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্ত পুলিশের দুর্নীতিবাজ কিছু সদস্যের সহায়তায় তারা নির্বিঘেœ মানবপাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় জনগনের অভিযোগ। উপজেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, মানবপাচার প্রতিরোধে ব্যাপক ভাবে জনসচেনতামূলক সভা-সেমিনার করে যাচ্ছি।
মানবপাচারকারীদের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ ও পুলিশের গভীর সখ্যতা রয়েছে। ফলে স্থানীয়ভাবে মানবপাচার প্রতিরোধে কাজ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে উখিয়া-টেকনাফের সহকারী পুলিশ (সার্কেল) আব্দুল মালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানবপাচরকারীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিক। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চিন্থিত মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবপাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।