খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে চালু হচ্ছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হবে পুরো ফ্লাইওভার।
প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটির সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলির মোড় পর্যন্ত অংশ ২৬ মার্চ খুলে দেয়া হচ্ছে। এ অংশের কাজ শেষ হয়েছে জানুয়ারিতে। দ্বিতীয় ধাপে ফ্লাইওভারটির বাংলামটর-মৌচাক অংশ খুলে দেয়া হবে চলতি বছরের জুনে আর শেষ ধাপে রামপুরা, রাজারবাগ, শান্তিনগরের অংশ খুলে দেয়া হবে ডিসেম্বরে।
শুক্রবার মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার পরিদর্শনকালে এসব তথ্য জানান এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী।
তিনি আরও বলেন, নিচের রাস্তা চালু রাখা আর ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বাড়াসহ বিভিন্ন কারণেই ব্যয় বেড়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত যত ফ্লাইওভার এবং ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে তাতে প্রতি মিটারের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১৬ থেকে ২৪ লাখ টাকা, এ ফ্লাইওভারে প্রতি মিটার নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে মাত্র ১৩ লাখ টাকা। এলজিইডি সর্বপ্রথম এদেশে অল্প খরচে খিলগাঁও ফ্লাইওভার নির্মাণ করে।
প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলম বলেন, দেশী-বিদেশী ও বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে আমাদের দেশে প্রচলিত ডান হাতে স্টিয়ারিং বিবেচনা করে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাইওভারটিতে ওঠা-নামার জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। যার প্রতিটিতে আন্তর্জাতিক হাইওয়ের মান বিবেচনায় নিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪.০৮ পার্সেন্ট এবং নামার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫.৮ শতাংশ ঢাল করা হয়েছে। গাড়ি ওঠা-নামার কোনো অসুবিধার প্রশ্নই আসে না।
এছাড়া প্রর্দশনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সিসিএপি পরিচালক, মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ভুল নকশার কারণে ৬০টি পিলার ভাঙতে হবে- এটি সম্পূর্ণ গুজব।