খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : কলম্বিয়ায় মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১০০-এর বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী। গতকাল শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস এ তথ্য জানান বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়। তিনি বলেন, এই ভাইরাস আমেরিকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্তঃসত্ত্বা মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁর অনাগত সন্তানের মস্তিষ্ক আক্রান্ত হতে পারে। সম্প্রতি ব্রাজিলে ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘মাইক্রোসেফালি’। জিকা ভাইরাস এর জন্য দায়ী কি না, এ ব্যাপারে এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দেশটিতে ছোট মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী চার হাজার শিশুর সঙ্গে জিকা ভাইরাসের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
গবেষকেরা এরই মধ্যে মা অথবা সদ্যোজাত সন্তানের মধ্যে জিকা ভাইরাস রয়েছে এমন ১৭টি ঘটনা শনাক্ত করেছে।
প্রেসিডেন্ট সান্তোস বলেন, কলম্বিয়ায় ‘মাইক্রোসেফালি’ রোগের সঙ্গে জিকা ভাইরাসের যোগসূত্রের কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
টেলিভিশনের এক খবরে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় সান্তোজ জানান, কলম্বিয়ায় ২৫ হাজার ৬৪৫ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৭৭ জন অন্তঃসত্ত্বা।
জিকা সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। এ রোগের কোনো প্রতিষেধকও নেই। আক্রান্তদের ৮০ ভাগের মধ্যেই কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বরসহ সামান্য অসুস্থতা বোধ করেন, শরীরে ফোসকার মতো ওঠে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সীমান্তবর্তী বলিভিয়ার নরতে দ্য সানতানদার প্রদেশে প্রায় পাঁচ হাজার জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত এক বুলেটিনে বলা হয়, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৩১ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা। ক্যারিবীয় অঞ্চলের কলম্বিয়া পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় দেশ। দেশটির কার্তাগেনা এবং সান্তা মার্তা ভ্রমণপিয়াসীদের মূল আকর্ষণ। ওই দুটি অঞ্চলে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে বুলেটিনে বলা হয়।