খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: যুক্তরাজ্যে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকার সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার দায়ে ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার ব্রাডফোর্ড ক্রাউন কোর্ট এই সাজা ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আকরাম (৬৩), খালিদ রাজা মাহমুদ (৩৪), সাকিব ইউনিস (২৯), ফয়সাল খান (২৭), ইয়াছির কবির (২৫), নাসির খান (২৪), তৌকির হোসাইন (২৩), সুফিয়ান জিয়ারাব (২৩), বিলাল জিয়ারাব (২১), জেইন আলী (২০), ইসরার আলী (১৯) ও হোসাইন সরদার (১৯)। তাঁদের সাড়ে তিন বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত সাজা দেওয়া হয়েছে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকার সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার দায়ে আকরামকে ও অন্যদের ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি আর কতজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
ঘটনায় জড়িত আরেক ব্যক্তি আরিফ চৌধুরী (২০) পলাতক থাকায় তাঁর বিষয়ে কোনো সাজা ঘোষণা করেননি আদালত। কোনো কোনো খবরে আরিফের নাম আহমেদ আল চৌধুরী বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়, ধর্ষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন আরিফ। তিনি মাদক ব্যবসায়ী।
ডেইলি মেইলের খবরে জানানো হয়, ধর্ষণের ঘটনায় আরিফকে ২০১২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যান।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১১ ও ২০১২ সালে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার শহরে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কিশোরীর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এক বছরের বেশি সময় ধরে আসামিরা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক রোজার টমাস আসামিদের উদ্দেশে বলেন, তাঁদের কুকর্ম ঘৃণ্য, দম্ভে ভরা ও অশ্রদ্ধাজনক। এমন ঘটনা বিচারক তাঁর দীর্ঘ ফৌজদারি অপরাধ-সংক্রান্ত বিচারিক জীবনে কখনো দেখেননি বলে উল্লেখ করেন। আসামিরা নিজেদের যৌনতৃপ্তির জন্য কিশোরীকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেছেন। তাঁরা কেউ কিশোরীর মঙ্গলের কথা বিন্দুমাত্র ভাবেননি। তাঁদের আচরণ কিশোরীর জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, যা ভুক্তভোগীকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।