খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী ত্রাণকর্মীর মৃত্যুর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রয়াত এক শীর্ষ নেতার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভার্জিনিয়ার ফেডারেল আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে জানানো হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
রয়টার্স ও বিবিসির খবরে জানানো হয়, ২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পোতে দায়িত্ব পালনের সময় কেলা মুয়েলার নামের এই ত্রাণকর্মী অপহৃত হন। গত বছর তাঁকে হত্যা করা হয়। অ্যারিজোনার প্রেসকটের মুয়েলার ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক যান। সিরিয়ায় শরণার্থীদের সাহায্য দিতে তিনি তুরস্কের একটি সংস্থার হয়ে দেশটির সীমান্তে কাজ করছিলেন।
অভিযুক্ত এই বিধবার নাম নাসরিন আসাদ ইব্রাহিম বাহার, যিনি উম সায়াফ নামে পরিচিত। তিনি এখন ইরাকের কারাগারে আছেন। তাঁর স্বামী আবু সায়াফ ছিলেন ইরাকের নাগরিক। তিনি আইএসের তেল ও গ্যাস-বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। গত মে মাসে তিনি মারা যান।
উম সায়াফের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, গত বছর সায়াফ এফবি আইকে জানান, মুয়েলারকে সায়াফের বাড়িতে আটক রাখা হয়। সেখানে আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি মুয়েলারকে ‘রক্ষিতা’ হিসেবে ব্যবহার করতেন; যা ক্রীতদাসের সমতুল্য।
গত আগস্টে মার্কিন কর্মকর্তারা এবিসি নিউজকে বলেছিলেন, আল-বাগদাদি ব্যক্তিগতভাবে মুয়েলারকে সায়াফের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেখানে তাঁকে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের জাতীয় নিরাপত্তা-বিষয়ক প্রধান জন কার্নিলের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে উম সায়াফ এখন ইরাকের কারাগারে আছেন।