খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটায় একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাঠি, রামদা নিয়ে ধরমপাশা সদরের মধ্যবাজারে মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক ১৪৪ ধারা জারি করেন। বেলা পৌনে দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
ইউএনও মোহাম্মদ নাজমুল হক ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কয়েকজন নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সমর্থিত নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে ধরমপাশা সদরের পূর্ববাজার থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে ধরমপাশা সদরের পশ্চিমবাজার থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ বিলকিস সমর্থিত নেতা-কর্মীরাও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে রওনা করেন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ইউএনও ১৪৪ ধারা জারি করেন।
সভাপতি সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে মুরাদের দাবি, গত শুক্রবার বিকেলে পাশের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু সৈনিক ক্লাবের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানকে উদ্দেশ্য করে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ বিলকিসের দাবি, মতিউর রহমান একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বর্ষীয়ান নেতা। তাঁকে উদ্দেশ্ করে অপপ্রচার চালানো দৃষ্টান্ত শামিল। এর প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছিলেন। ১৪৪ ধারা জারি করায় তাঁরা ধরমপাশা পশ্চিমবাজার সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে অপরপক্ষের কিছুসংখ্যক আওয়ামী লীগ নামধারী বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডার অস্ত্র মজুত করেছিলেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ায় ও তাদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।